সম্পর্কে একঘেয়েমি? যা করলে গাঢ় হবে রসায়ন
সম্পর্কে ঝগড়াঝাঁটি ও মান-অভিমান তো থাকবেই। তাই বলে কি সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়? বরং বিরহের পরে মিলনের যে অনুভূতি তা শুধু যারা প্রেম করেছেন তারাই জানেন। তবে, সম্পর্ক সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে টিকিয়ে রাখতে গেলে কিন্তু প্রয়োজন দু’জনের সমান চেষ্টা।
ভালোবাসা আর চেষ্টা থাকলে সব বাধা ও দূরত্বকে অতিক্রম করা যায়। গলে যায় সব রাগারাগি, মুছে যায় সব খারাপ স্মৃতি। আজকাল সব সম্পর্কের একটা বড় সমস্যা। তা হলো সময়ের অভাব।
সারাদিন অফিসের চাপ, বাড়িতে এসেও সেই অফিসের কাজ করতে করতে চলে যায় বেশিরভাগ সময়। তারপর আছে বাড়ির কাজ। কিছুটা সময় নিজেদের মতো করে কাটাবেন তার জো নেই। আর এখান থেকেই হয় সমস্যার সূত্রপাত। তাই সময় থাকতে ব্যবস্থা নিন। নিজেদের সম্পর্ক মজবুত করতে মেনে চলুন কয়েকটি সহজ টিপস। দেখবেন সম্পর্ক থাকবে নতুন প্রেমের মতোই তরতাজা।
একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর ভালো উপায় হতে পারে শরীর চর্চা। নিজেকে ফিট রাখতে দিনের ৩০ মিনিট সময় শরীর চর্চার জন্য ব্যয় করাই উচিত। সেটাই বরং প্রতিদিন করুন আপনার সঙ্গীর সঙ্গে। নিজের স্বাস্থ্যের সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্কও ভালো থাকবে। এই সময় যদি মাঝেসাঝে চলে হালকা ‘ফ্লার্টিং’ তাহলে তো কথাই নেই।
সারাদিনের কাজের মাঝে খাওয়া দাওয়ার সময়ের ঠিক থাকে না। কিন্তু দিনের একটা সময় আপনার সঙ্গীর জন্য রাখুন, নিয়ম করে এক বেলার খাওয়ার একসঙ্গে খান। তাতে প্রেম বাড়ে। সেই সময় অন্য সব চিন্তা ভুলে, নিজেদের কথা বলুন। সারাদিনের কর্মব্যস্ততার মাঝে এটাই হতে পারে আপনাদের একান্ত সময়।
একসঙ্গে থাকলে মতানৈক্য, ঝগড়াঝাঁটি হতেই পারে। তবে সেই রাগ পুষে না রাখাই ভালো। তাতে নিজেদের মধ্যে তিক্ততা বাড়ে। নিজেদের মধ্যে ইগো না রেখে দিনের ঝগড়া দিনেই মিটিয়ে ফেলুন। নিজেদের মধ্যে কথা বলুন, কোনও সমস্যা থাকলে তা মিটিয়ে নিন।
মুখে না বললেও নিজের প্রশংসা শুনতে ভালোবাসেন সবাই। আর সেই সাধু বাক্য যদি আসে মনের মানুষের মুখ থেকে তা হলে তো আহ্লাদে আটখানা। সঙ্গীর ছোট ছোট কাজকে অভিবাদন জানান। এতে প্রেম কিন্তু আরও গাঢ় হবে।
সঙ্গীর হাতে হাত রাখুন, জড়িয়ে ধরুন, তার প্রতি নিজের টান অনুভাব করান। এতে সঙ্গীর ভালো লাগবে, সম্পর্কের রসায়ন আরও গাঢ় হবে।
কেএ