নিয়মিত পানি বদলেও বাঁচাতে পারছেন না অ্যাকুরিয়ামের মাছ!
দু’দিন আগে অ্যাকুরিয়ামে নতুন এক জোড়া মাছ ছেড়েছিলেন। একটা সপ্তাহ যেতে না যেতে একটি পানির ওপর ভেসে উঠেছে। পানি বদলে, তাদের জন্য তৈরি বিশেষ খাবার খেতে দিয়েও প্রাণে বাঁচাতে পারছেন না। কয়েকদিন খুব গরম পড়েছিল। ভ্যাপসা গরমে মাছেদের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে বলে অ্যাকুরিয়ামের পানির সঙ্গে ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা পানিও মিশিয়ে দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাতেও বিপদ ঠেকিয়ে রাখা যায়নি।
সমস্যাটা কোথায় হচ্ছে বলুন তো?
১) মাছ ছাড়ার আগে অন্তত পক্ষে পাঁচ থেকে সাত দিন অ্যাকুরিয়ামে পানি ভরে রাখতে হবে। তার মধ্যে মাছ থাকলে যে সব যন্ত্রপাতি চলে, স্বাভাবিকভাবেই সেগুলো চালু রাখতে হবে। এই ‘সাইক্লিং’ পদ্ধতি পানির ভেতর নাইট্রোজেন এবং ভালো ব্যাকটেরিয়ার সমতা বজায় রাখবে। নতুন পরিবেশের সঙ্গে মাছ সহজেই খাপ খাইয়ে নিতে পারবে।
২) নতুন মাছ আনার হুজুগে তাদের অনেকটা পরিমাণে খাবার দিয়ে ফেলছেন না তো? এতে কিন্তু বিপদ বাড়বে। অ্যাকুরিয়ামে খাবার দেওয়ার মিনিট খানেকের মধ্যে মাছ যতটুকু খাবার খেতে পারে, সেটুকুই তাদের জন্য বরাদ্দ করতে হবে। মাছ কিন্তু বুঝতে পারে না, তার কতটুকু খাওয়া উচিত। বেশি খাবার পেলে সে আয়ত্তের বাইরে গিয়ে খেয়ে ফেলবে। তাতেই হিতে বিপরীত হবে।
৩) নতুন মাছ ছাড়ার আগে পানির তাপমাত্রা দেখে নিতে হবে। কোনো কোনো মাছ ঠান্ডা পানি পছন্দ করে। আবার কোনো কোনো মাছের পছন্দ উষ্ণ পানি। আগে থেকে সেই বিষয়ে সচেতন না থাকলে মাছেদের বাঁচানো যাবে না।
৪) খাবারের উচ্ছিষ্ট এবং মাছেদের শরীরের বর্জ্য থেকে পানি দূষিত হয়। ফলে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। মাছেদের দীর্ঘায়ু কামনা করলে অ্যাকুরিয়ামে মাছ আনার আগে অক্সিজেন পাম্প এবং ফিল্টারের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫) মাছেদের মধ্যেও কিন্তু ভেদাভেদ আছে। সব জাতের মাছ এক জায়গায় থাকতে পারে না। প্রতিবেশীকে পছন্দ না হলে মাছেদের মধ্যেও কিন্তু সমস্যা তৈরি হতে পারে। অপছন্দের প্রতিবেশীকে প্রাণেও মেরে ফেলতেও পিছ পা হয় না বেশ কিছু জাতের মাছ। তাই অ্যাকুরিয়ামে মাছ রাখার আগে অভিজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
জেডএস