বেকিং সোডা যেসব কাজে ব্যবহার করতে পারেন
বেকিং সোডা সাধারণত খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। কেক, বিস্কুট, পিঠা ইত্যাদি তৈরিতে বেকিং সোডার প্রয়োজন পড়ে একথা তো সবারই জানা। তবে এই সোডার আরও কিছু ব্যবহার রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে আমাদের বেশিরভাগেরই অজানা। বাড়িতে বেকিং সোডা থাকলে তা রান্নার কাজে ছাড়াও আরও অনেক কাজে ব্যবহার করতে পারেন। কোন কাজগুলো? চলুন জেনে নেওয়া যাক?
১. টুথপেস্ট
আপনার টুথপেস্ট ফুরিয়ে গেলে দাঁত ব্রাশ করার কাজে বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারেন। এটি আলতোভাবে ঘষে দাঁত মাজুন। এতে দাঁত পরিষ্কার এবং ঝকঝকে হবে। এটি বিকল্প টুথপেস্ট হিসেবে চমৎকার কাজ করে। আপনাকে যা করতে হবে তা হলো নারিকেল তেলের সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে নেওয়া এবং তারপরে ব্রাশ করে মুখ ধুয়ে নেওয়া।
২. ডিওডোরাইজার
হ্যাঁ! বেকিং সোডা গন্ধ শোষণ করতে পারে! যদি আপনার অ্যান্টিপারস্পাইরেন্টের হাতের কাছে না থাকে তবে দ্রুত এবং জরুরি প্রয়োজন হিসাবে আপনার বগলের নিচে কিছুটা বেকিং সোডা লাগিয়ে নিন। আর কীসে ব্যবহার করবেন? বেকিং সোডা জুতা, মোজা, ড্রয়ার, ফ্রিজ, মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদি থেকেও গন্ধ শোষণ করতে পারে।
আরও পড়ুন
৩. তেল রিমুভার
যেহেতু বেকিং সোডার শোষণকারী ক্ষমতা রয়েছে এবং এটি অনেক কঠিন দাগ পরিষ্কার করতে পারে তাই তেলের দাগ তোলার ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। রান্না করতে কিংবা খেতে গিয়ে অনেক সময় কাপড়ে তেল লেগে যেতে পারে। জামাকাপড় বা যেখানে তেল পড়েছে সেখানে অল্প বেকিং সোডা ছিটিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। এরপর ধুয়ে নেবেন।
৪. এক্সফোলিয়েটর
বেকিং সোডার একটি পুরু টেক্সচার রয়েছে, যে কারণে এটি একটি দুর্দান্ত এক্সফোলিয়েটর হিসাবে কাজ করে। আপনাকে যা করতে হবে তা হলো, সামান্য পানি দিয়ে বেকিং সোডা ভিজিয়ে ত্বকের মৃত কোষগুলোকে স্ক্রাব করে নেওয়া। এতে আপনার ত্বককে পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে। ফলে উজ্জ্বল ত্বক পাবেন সহজেই।
এইচএন