অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস কমাবেন যেভাবে
গ্যাস্ট্রোনমির জগতে লবণ একটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় উপাদান। এক চিমটি লবণের অভাবে এক থালা খাবারের স্বাদ মুহূর্তেই পানসে হয়ে যেতে পারে। একদিকে এটি খাবার তৈরিতে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপাদানগুলোর মধ্যে একটি, অন্যদিকে লবণ উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ইত্যাদির ঝুঁকি সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সঙ্গে যুক্ত। এ কারণেই বিশ্বজুড়ে বিশেষজ্ঞরা স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে লবণের ব্যবহার পরিমিত করার পরামর্শ দেন। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ ত্বকের স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করতে পারে। গবেষণার ফলাফল জামা ডার্মাটোলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
লবণ এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের মধ্যে সম্পর্ক কী?
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষা অনুসারে, সোডিয়াম যা কিনা বেশিরভাগ মানুষ লবণের আকারে গ্রহণ করে, এটি ত্বকে জমা হয় এবং ত্বকের প্রদাহে ভূমিকা পালন করতে পারে। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে যে খাদ্যতালিকাগত সোডিয়াম সীমিত করলে তা একজিমা রোগীদের রোগ নিয়ন্ত্রণ করার একটি সহজ উপায় হতে পারে। প্রতিদিনের খাবারে লবণের পরিমাণ কমাতে যা করবেন-
১. প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন
এই খাদ্য দ্রব্যগুলোর স্বাদ ভালো করার জন্য অস্বাস্থ্যকর মাত্রায় লবণ যোগ করা হয়, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। অতএব, এই রেডি-টু-ইট প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলো কেনা এড়িয়ে চলুন এবং ফল, বাদাম এবং বীজের মতো স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
২. খাবারে লবণ ছিটাবেন না
আপনি কি জানেন যে খাবার রান্না করার পরে লবণ যোগ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়? বলা হয়ে থাকে যে লবণ রান্না হয়ে গেলে এর আয়রনের গঠন পরিবর্তিত হয় এবং আমাদের শরীরের পক্ষে তা হজম করা সহজ হয়। তাই খাবারে কাঁচা লবণ মেশানো এড়িয়ে চলুন।
৩. আচার, চাটনি পরিমিত পরিমাণে খান
আচার খাবারের স্বাদ ভালো করে কিন্তু মসালাদার আচারে প্রচুর সোডিয়াম এবং ট্রান্স-ফ্যাটও থাকে; অতএব, আচার খাওয়ার ক্ষেত্রে সংযমী হোন। এতে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ভয় কমবে অনেকটাই।
আরও পড়ুন
৪. মসলা এবং ভেষজ ব্যবহার করুন
ভেষজ আপনার খাবারের জন্য একটি নিখুঁত সংযোজন। এগুলো উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য থাকায় আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৫. কম সোডিয়াম সহ ফল এবং শাক-সবজি খান
বীটের মত ফল, পালং শাক এবং গাজরের মতো শাক-সবজিতে উচ্চ সোডিয়াম রয়েছে। তাই এগুলো পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। যদিও এগুলো বেশ উপকারী। তবে পরিমিত পরিমাণ না খেলে অতিরিক্ত সোডিয়াম শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
এইচএন