প্রতিদিন ধনিয়াপাতা খেলে কী হয়?
ধনিয়াপাতার সুগন্ধের কারণে এটি বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করা হয়। শুধু সুগন্ধই নয়, এটি রান্নায় ব্যবহার করা হলে তা খাবারের স্বাদও অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। বিভিন্ন রকম মাছ, তরকারি কিংবা স্যুপ তৈরিতে তো বটেই, ধনিয়াপাতা ব্যবহার করা হয় নুডলস, পাকোড়া, চপ ইত্যাদি তৈরিতেও।
প্রতিদিন নানা পদের খাবার তৈরিতে যে ধনিয়াপাতা ব্যবহার করা হয়, তার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানা আছে কি? এই পাতায় আছে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়ামসহ নানা পুষ্টিগুণ। প্রতিদিন ধনিয়াপাতা খেলে তা শরীরের জন্য নানা উপকার করে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক প্রতিদিন ধনিয়াপাতা খাওয়ার উপকারিতা-
রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে
সুস্থ থাকার জন্য রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে ধনিয়াপাতা। নিয়মিত ধনিয়াপাতা খেলে তা রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ধনিয়াপাতা কাঁচা খেলে তা উপকার করে।
মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়
আমাদের মস্তিষ্কোর কার্যকারিতা বাড়াতে কাজ করে ধনিয়াপাতা। আপনি যদি নিয়মিত ধনিয়াপাতা খান তবে তা আপনার মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করবে। এটি মস্তিষ্ককে তীক্ষ করে তোলে। ফলে আলঝাইমারের মতো রোগ থেকে দূরে থাকা সহজ হয়। তাই মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে নিয়মিত ধনিয়াপাতা খেতে পারেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আমাদের সার্বিক সুস্থতার জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হওয়া আবশ্যক। সেজন্য খেতে হবে সহায়ক সব খাবার। তেমনই একটি খাবার হলো ধনিয়াপাতা। এই পাতায় থাকে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে সহ অনেক পুষ্টি উপাদান। যে কারণে নিয়মিত ধনিয়াপাতা খেলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে অসুখ-বিসুখ ও বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন
পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখে
পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখা জরুরি। কারণ পেট ভালো থাকলেই আমাদের পুরো শরীর সেখান থেকে পুষ্টি পায়। আপনি যদি নিয়মিত ধনিয়াপাতা খান তবে তা আপনার পেট ভালো রাখতে কাজ করবে। এই পাতার অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। ধনিয়াপাতা হজম শক্তি বাড়াতে কাজ করে।
উপকারী কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে
আমাদের শরীরের সুস্থতার জন্য উপকারী কোলেস্টেরল প্রয়োজন। নিয়মিত ধনিয়াপাতা খেলে তা শরীরে উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই এটি কাঁচা কিংবা বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করে খেতে পারেন। এতে সুস্থ থাকা সহজ হবে অনেকটাই। তবে খেতে হবে পরিমিত। কোনো খাবারই খুব বেশি খাওয়া ভালো নয়।
এইচএন