যেভাবে ঘুমালে কমবে করোনাকালীন কষ্ট
করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাসকষ্টের প্রবণতা কমাতে পারে ঘুম। করোনায় আক্রান্ত হলে শ্বাসকষ্ট কমানোর জন্য বিশেষ এক পদ্ধতি অবলম্বন করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এটি মূলত এক ধরনের ঘুমের পদ্ধতি। যাকে বলা হয় ‘প্রোনিং’। এই পদ্ধতি মেনে ঘুমালে তা শ্বাসযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় অনেকটাই।
সাধারণত বিশেষজ্ঞরা করোনায় আক্রান্ত রোগীদের এই বিশেষ পদ্ধতিতে শুইয়ে দেন। এর ফলে রোগীর অ্যালভিওলার ইউনিট উন্মোচিত হয়। শরীরে অক্সিজেন চলাচল করতে পারে সঠিকভাবে। যে কারণে কমে শ্বাসকষ্ট। অনেকেই আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে রয়েছেন। তারা এই বিশেষ পদ্ধতি মেনে চলতে পারেন। এতে করোনাকালীন কষ্ট কমবে অনেকটাই।
ঘুমের এই বিশেষ পদ্ধতি মেনে চলার জন্য বাড়তি কিছুর প্রয়োজন নেই। শুধু ৪-৫টি বালিশ কাছে থাকলেই চলবে। প্রথমে ত্রিশ মিনিট উপুর হয়ে শুয়ে থাকতে হবে। এরপর ডান পাশে ফিরে আরও ত্রিশ মিনিট শুয়ে থাকবেন। পরের ত্রিশ মিনিট পিঠে ভর দিয়ে আধশোয়া অবস্থায় থাকতে হবে। এরপর বাম পাশে ফিরে শুয়ে থাকতে হবে আরও ত্রিশ মিনিট। এরপর আবার প্রথম পজিশনের মতো উপুর হয়ে শুয়ে থাকতে হবে আরও ত্রিশ মিনিট।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি পজিশনে আধাঘণ্টার বেশি শুয়ে থাকা যাবে না। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অতিরিক্ত বালিশগুলো সুবিধা অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। সবার আগে নিজের স্বস্তির দিকে নজর রাখবেন। খাওয়ার পরপরই এই পদ্ধতি অনুসরণ করবেন না। প্রোনিং এর এই পদ্ধতি চাইলে দিনে ষোল ঘণ্টা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অবলম্বন করা যেতে পারে। তবে শারীরিক কোনো সমস্যা অনুভব করলে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিতে হবে।
এই পদ্ধতি করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে উপকারী হলেও সবাই এটি অনুসরণ করতে পারবেন না। কারণ এটি কারও কারও জন্য উপকারী না-ও হতে পারে। জেনে নিন কারা প্রোনিং থেকে বিরত থাকবেন-
* গর্ভবতী কারও জন্য এই পদ্ধতি মেনে না শোয়াই উত্তম। কারণ উপুর হয়ে ঘুমালে তাদের ক্ষতি হতে পারে।
* ডিপ ভেনাস থ্রমবসিসের মতো অসুখ থাকলে এই পদ্ধতি মেনে চলা যাবে না।
* যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তারাও এই পদ্ধতি এড়িয়ে চলবেন।
* হাড়ের সমস্যা থাকলে তাদের ক্ষেত্রেও প্রোনিং উপকারী নয়।
করোনায় আক্রান্ত হলে পর্যাপ্ত ঘুমের দিকে নজর দিতে হবে। ভালো ঘুম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। তাই আতঙ্কিত না হলে নিশ্চিন্ত ঘুম জরুরি। পাশাপাশি আরামের জন্য বিশেষ এই পদ্ধতি মেনে চলতে পারেন।
এইচএন/এএ