কিডনি সুস্থ রাখতে ডায়েটে রাখুন এই খাবারগুলো
হার্ট, লিভারের মতো শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো কিডনি। দেহের বর্জ্য এই কিডনির মাধ্যমেই পরিশ্রুত হয়। তাই কিডনি সুস্থ না থাকলে শরীর সুস্থ থাকবে না। ২০২২ সালের এক সমীক্ষায় এসেছে ‘বাংলাদেশে প্রতি ১০০ জনে ৮ থেকে ১০ জন কিডনি সমস্যায় ভুগছেন, অথচ তিনি জানেন না। বিশ্বের জনসংখ্যায় তা ১০০ জনে প্রায় ২৩ জন।
অনিয়মত জীবনযাপন ও ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কিডনিতে পাথরের সমস্যাতেও ভোগেন অনেকে। সেক্ষেত্রে খাওয়ার বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন জরুরি
কিডনিতে পাথর হলে এবং প্রথম অবস্থাতেই ধরা পড়লে সার্জারি ছাড়াই সেটা বের করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে বিশেষ ডায়েট মেনে চলতে হবে। যার মধ্যে অন্যতম, অতিরিক্ত জল খেতে হবে
শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমে গেলে কিডনিতে পাথর জমতে পারে। তাই বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খেতে হবে। প্রতিদিনের ডায়েটে দুধ, দই, ঘি ইত্যাদি দুগ্ধজাতীয় দ্রব্য রাখুন
ভিটামিন-ডি শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে। তাই ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন, মাশরুম, চিজ, চর্বিজাতীয় মাছ, স্যালমন মাছ বেশি পরিমাণে খান
কিডনির পাথর গলাতে অনেকাংশে সাহায্য করে সাইট্রাস ফল। লেবুজাতীয় ফল মূলত সাইট্রাস ফল। তাই প্রতিদিন অন্তত যে কোনও এক ধরনের লেবু অর্থাৎ পাতিলেবু বা মুসুম্বি বা কমলালেবু খান। এগুলোর রসও খেতে পারেন
কিডনিতে পাথর হলে প্রাণীজ প্রোটিন যেমন, ডিম, মাছ, মাংস কম পরিমাণে খান। তার বদলে উদ্ভিজ প্রোটিন, যেমন ডালিয়া, ওটস, কিনোয়ার মতো বিভিন্ন ধরনের দানাশস্য প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন।
কিডনিতে পাথর হলে বা পাথর হওয়া আটকাতে কাঁচা নুন একেবারে খাবেন না। এছাড়া ভাজাভুজি বা ফাস্টফুড, ঠান্ডা পানীয় এড়িয়ে চলবেন। মদ্যপান থেকে দূরে থাকতে হবে। অন্যথায় কিডনিতে পাথরের জটিলতা বাড়তে পারে।
এসএম