এসির নাম করে যা খুশি তা কিনছেন? জেনে নিন এ বিষয়গুলো
বাড়ছে গরম। তেমনই বাড়ছে এসি নিয়ে মানুষের কৌতূহল-প্রশ্ন। কোনটা কেনা ঠিক হবে, ইলেকট্রিক বিল বাঁচাবেন কীভাবে ইত্যাদি। এ বছর মারাত্মক গরম পড়বে বলে আগাম সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় কোন এসি আপনার বাড়ির জন্য সঠিক হবে তা যাচাই করুন। এসির নাম করে যা খুশি বাড়ি আনলে পরে সমস্যায় ভুগতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। যে কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এয়ার কন্ডিশনিং। কিন্তু, তা কেনার পাশাপাশি তা চালাতে গিয়েও বিপুল বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। মাস গেলে মোটা টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে, তাই অনেকেই ইনভার্টার-সহ স্মার্ট এসি কেনার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তার পেছনে কতটা যুক্তি আছে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ইনভার্টার এসি কেন?
কম বিদ্যুৎ খরচ করে ভালো সার্ভিস দিতে পারে ইনভার্টার এসি। যে কারণে সাধারণ এসির থেকে কার্যকর মনে করা হয়। বর্তমানে বেশিরভাগ স্মার্ট এসি ইনভার্টার প্রযুক্তির সঙ্গে আসে। তাই আপনি যদি কম বিদ্যুৎ খরচ করতে চান তাহলে নতুন প্রযুক্তি সম্পন্ন ইনভার্টার এসি কেনার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। ঘরের তাপমাত্রা অনুযায়ী কাজ করে ইনভার্টার এসি। যদি তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে তখন এসি কমপ্রেসার চালু করে দিয়ে কুলিং বাড়িয়ে দেয় ইনভার্টার এসি।
আরও পড়ুন
স্মার্ট এসি কেন গুরুত্বপূর্ণ?
বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের স্মার্ট এসি পাওয়া যায়। এই ধরনের এসি স্মার্টফোন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কারণ এগুলোতে থাকে স্মার্ট ডায়াগনসিস সিস্টেম, মেইনটেনেন্স এবং প্রবলেম ইনফরমেশন। এটি দূর থেকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এর সুবিধা হলো আপনি যদি সুইচ অফ করতে ভুলে যান, তাহলে বাইরে গিয়েও স্মার্টফোনের মাধ্যমে সুইচ অফ করতে পারবেন। যার ফলে কারেন্টের বিল কম আসবে।
এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন
এসি কেনার সময় কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা উচিত। বর্তমানে স্মার্ট এসি কুলিং এবং হিটিং দুই প্রযুক্তি-সহ পাওয়া যায়। বহু জায়গা রয়েছে যেখানে শীতকালে ভালো ঠান্ডা পরে আবার গ্রীষ্মকালে ভালো গরম। তাই এই প্রযুক্তি থাকলে সুবিধা পাবেন।
পাশাপাশি ঘরের আয়তন অনুযায়ী এসি কেনা উচিত। যেমন ঘরের আয়তন যদি বড় হয় তাহলে দেড় টন (১.৫) বা ২ টন ক্যাপাসিটির এসি। ঘরের আয়তন যদি কম হয় তাহলে ১ টন এসি যথেষ্ট। আর বিদ্যুৎ খরচ কমানোর জন্য ৫ স্টার এসি কেনার চেষ্টা করুন। সাধারণত ১০০ থেকে ১২০ বর্গফুটের ঘরে হলে ১ টনের এসি যথেষ্ট। ১২০ থেকে ১৫০ বর্গফুট ঘরের জন্য দরকার দেড় টন এসি। এর চেয়ে বেশি আয়তনের ঘরের জন্য ২ টনের এসি কেনা ভালো।
এই মুহূর্তে অনলাইন ও অফলাইন দু জায়গা থেকেই নানা ব্র্যান্ডের এসি কিনতে পারবেন। তার ফিচার্স এবং স্পেকস যাচাই করে নিন। পাশাপাশি এসি কেনার পর অবশ্যই সেটি সঠিক ও সচেতনভাবে ব্যবহার করুন যাতে মাস শেষে বিদ্যুৎ খরচ কমাতে পারেন।
এসএম