ফিট থাকার জন্য প্রতিদিন হাঁটেন? মেনে চলুন পাঁচ নিয়ম
সকাল-সকাল ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে যাওয়ার মতো আর কোনো উপকারী ব্যায়াম হতে পারে না। এই প্রাতঃভ্রমণে মাত্র আধ ঘণ্টা হাঁটা-চলা আপনার শরীর ও মনকে চাঙ্গা করার পাশাপাশি সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। কিন্তু এই ব্যায়ামটি সঠিকভাবে করলেই উপকার পাওয়া যায়। প্রকৃতপক্ষে, যে কোনো ব্যায়াম শুধুমাত্র সঠিকভাবে করা হলেই উপকারী।
অনেক সময় সাধারণ ব্যায়াম করতে গিয়েও আমাদের অজান্তেই অনেক ভুল হয়ে যায়। তাই, প্রতিদিন ব্যায়াম করেও, আপনি পছন্দসই ফলাফল দেখতে পাবেন না। তবে চলুন দেখে নেই হাঁটতে যাওয়ার সময় কী করা উচিত।
১. সময় এবং স্থান
জায়গা বা সময় না দেখে আমরা প্রায়ই হাঁটতে যাই। আপনি যদি খোলা জায়গায় হাঁটতে যান তবে এটি বন্ধ জায়গার পরিবর্তে শরীরকে সূর্যের আলো পেতে সহায়তা করে। তবে তাজা বাতাস এবং ভালো সূর্যালোক পেতে গাড়ির সংখ্যা বেশি এবং ভিড় থাকে এমন জায়গায় হাঁটা এড়িয়ে চলা উচিত। সকাল সাতটার পর থেকে বাতাসে দূষণের পরিমাণ বাড়তে থাকে। তাই বেড়াতে যাওয়ার সময় এসব বিষয় মাথায় রেখে সময় ও স্থান বেছে নিন।
২. ব্যায়ামের জামাকাপড় এবং জুতা
ব্যায়ামের সময় আমরা অনেক দূর হেঁটে যাই। তাই জুতা এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরুন যাতে আপনার পায়ে ব্যথা না হয়। জুতা এবং জামাকাপড় উভয়ই ওজনে হালকা হলে এটি আপনাকে বিরক্ত করবে না।
৩. পানি পান করুন
হাঁটতে যাওয়ার ১৫ থেকে ২০ মিনিট আগে এক থেকে দুই চুমুক পানি পান করুন। ব্যায়ামের আগে বেশি পানি পান করা অস্বস্তিকর হতে পারে এবং আপনার চলাফেরাকে প্রভাবিত করতে পারে।
৪. সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখা
হাঁটার সময় অনুপযুক্ত অঙ্গবিন্যাস কোমর ব্যথা, হাঁটু ব্যথা এবং পায়ের ব্যথার মতো সমস্যা হতে পারে। এটি যাতে না ঘটে তার জন্য, হাঁটার সময় মেরুদণ্ড এবং ঘাড় একটি সরল রেখায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি বাঁকানো/কুঁকানো পিঠ নিয়ে হাঁটেন, তাহলে এটি আপনার পেশীতে চাপ দিতে পারে এবং ব্যায়ামের সময় শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে।
৫. হাঁটার পদ্ধতি
বরাদ্দ সময়ে বেশি দূরত্ব হাঁটার জন্য অপ্রয়োজনীয়ভাবে বড় পদক্ষেপ নেবেন না। ছোট বা নিয়মিত হাঁটার মাধ্যমে নির্দিষ্ট দূরত্ব পূরণ করুন। অপ্রয়োজনীয় উচ্চ গতিতে এবং বড় পদক্ষেপে হাঁটা হাঁটুতে চাপ দেয়।
এসএম