আপনার যে কাজগুলো সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর
আপনি হয়তো ভাবেন যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনিই সঠিক। কিন্তু আপনারও কিছু ভুল থাকতে পারে। নিরপেক্ষভাবে ভাবলেই তা স্পষ্ট হয়ে উঠবে। আপনার কিছু কাজ সম্পর্কটি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। হয়তো অনেক সময় না বুঝেই করে ফেলেন, কিন্তু আপনার কাজগুলো দ্বন্দ্বের কারণ হতে পারে এবং এর ফলে সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে। তাই আগেভাগেই সতর্ক হওয়া জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন কাজগুলো করা যাবে না-
১. বাউন্ডারি না থাকা
শুধুমাত্র রোমান্টিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেই নয় বরং অন্যান্য সম্পর্কের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বাউন্ডারি রাখার অভ্যাস। এর মানে হলো একে অন্যের সীমানা অতিক্রম না করা। আপনি যদি আপনার সঙ্গীর ব্যক্তিগত স্পেসকে সম্মান করতে না পারেন এবং ক্রমাগত তার সীমানা অতিক্রম করতে থাকেন তবে এটি সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে। আবার আপনি যদি তাকে অতিরিক্ত খুশি করার চেষ্টা করেন বা আঁকড়ে থাকেন তবে এটিও সম্পর্কের জন্য অস্বাস্থ্যকর।
২. সহানুভূতি প্রকাশ না করা
আপনি যদি সঙ্গীর পরিস্থিতির প্রতি সহানুভূতিশীল হতে না পারেন তবে এটিআপনার সহানুভূতির অভাবই ফুটিয়ে তুলবে। একজন সহানুভূতিশীল সঙ্গী সব সময় তার সঙ্গীর আবেগ এবং চিন্তাকে গ্রহণ করে। কিন্তু আপনার সহানুভূতির অভাব সম্পর্কটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। যা এক সময় নিয়ে যেতে পারে ভাঙনের দিকে।
আরও পড়ুন
৩. সরাসরি কথা না বলা
যোগাযোগের অভাব সম্পর্কের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি এবং মানসিক দূরত্ব তৈরি করে। আপনি যদি সঙ্গীর সঙ্গে আপনার চাহিদা এবং চিন্তাভাবনা সরাসরি না বলেন তবে এটি সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াতে পারে। আপনি মাঝেমাঝেই যোগাযোগ বন্ধ করে দেন এবং সম্পর্কের মধ্যে মানসিক অভিব্যক্তি এড়িয়ে যান? এগুলো কোনোটিই ভালোবাসার প্রকাশ করে না।
৪. আত্মকেন্দ্রিক
স্বার্থপর মনোভাব সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরেকটি বিপত্তি। আপনি যদি আপনার সঙ্গীর লক্ষ্যের চেয়ে আপনার পছন্দ এবং সিদ্ধান্তগুলোকে সব সময় অগ্রাধিকার দেন তবে এটি আপনার স্বার্থপরতার প্রকাশ করবে। আপনি তাদের সময়, স্নেহ এবং ভালোবাসা দাবি করেন কিন্তু কখনও প্রতিদান দেন না। এই আচরণ সম্পর্কের মধ্যে বিরক্তি এবং তিক্ততার জন্ম দেয়।
৫. সঙ্গীর প্রতি ঈর্ষান্বিত
ঈর্ষা হলো আরেকটি সূক্ষ্ম কারণ যা একটি সম্পর্ককে ভাঙনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। ঈর্ষা তখন জন্মায় যখন একজন ব্যক্তি খুব বেশি প্রতিযোগিতামূলক হয় এবং তার নিজেকে সমৃদ্ধ করার মানসিকতা থাকে না। আপনি যদি আপনার সঙ্গীর কৃতিত্বের কথা শুনে অস্বস্তি বোধ করেন এবং উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তবে এটি একটি সুস্পষ্ট লক্ষণ যে আপনি সঙ্গীর প্রতি ঈর্ষান্বিত।
এইচএন