রোজা রাখার ৫ উপকারিতা
রোজা রাখার রয়েছে অনেকগুলো উপকারিতা। ধর্মীও কিংবা আত্ম-প্রশান্তির দিক ছাড়াও রোজার রয়েছে কিছু শারীরিক উপকারিতাও। এই নিয়ে অনেকগুলো গবেষণা হয়েছে এবং আরও অনেক গবেষণা চলছে। কিছু বিষয়ে এখনও পুরোপুরি সিদ্ধান্তে আসা না গেলেও বেশ সন্তুষ্টিজনক ফলাফল মিলেছে। এমনিতে বছরের অন্যান্য সময়ে একবেলার খাবার বাদ দিলেই তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তবে একটি নির্দিষ্ট রুটিনে সেহরি ও ইফতার খেয়ে রোজা রাখলে তা শরীরের জন্য উপকারিতা নিয়ে আসে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ
রোজা রাখলে তা দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ নিয়ন্ত্রণের জন্য শরীরের ক্ষমতা উন্নত করে বলে মনে করা হয়। যেমন হৃদরোগ, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের মতো সমস্যার ঝুঁকি কমে রোজা রাখার ফলে এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
২. তারুণ্য ধরে রাখে
রোজা রাখা এবং বিশেষ করে কম প্রোটিনযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করার অভ্যাস শরীরে তারুণ্য ধরে রাখতে কাজ করে। রোজা মানুষের বৃদ্ধির হরমোনের স্তরকে উন্নীত করে বলে মনে করা হয়। এই হরমোন শরীরের বৃদ্ধি, বিপাক, ওজন হ্রাস, পেশী শক্তি এবং ব্যায়ামের কর্মক্ষমতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ সম্পর্কিত বর্তমান গবেষণা মূলত প্রাণিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ, তাই এটি কীভাবে মানুষের তারুণ্যকে প্রভাবিত করে তা সম্পূর্ণরূপে বোঝার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন।
আরও পড়ুন
৩. সার্কাডিয়ান রিদম ঠিক রাখে
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, রোজা রাখলে তা সরাসরি অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে বিপাক নামক রাসায়নিকের স্তরে পরিবর্তন ঘটে। যা আমাদের কেন্দ্রীয় শরীরের ঘড়িতে সংকেত অণু হিসাবে কাজ করে। এভাবে রোজা আমাদের সার্কাডিয়ান রিদমকে পুনরায় সেট করতে সাহায্য করে। এর ফলে স্থূলত্বের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করাও সহজ হয়।
৪. মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে
প্রাণিদের ওপর করা গবেষণায় দেখা গেছে যে, রোজা রাখলে তা পার্কিনসন এবং আলঝাইমারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এবং ফলাফল উন্নত করে। সেইসঙ্গে স্মৃতিশক্তি এবং মস্তিষ্কের প্রক্রিয়াকরণকে বাড়িয়ে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও উন্নত করে। প্রানিজ গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, রোজা রাখলে তা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং স্নায়ু কোষের উৎপাদন বাড়ায়। তবে মানুষের জন্য প্রাসঙ্গিকতা নির্ধারণের জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।
৫. উদ্বেগ কমায়
মানব গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোজা উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতার লক্ষণ কমায় এবং সামাজিক সংযোগ উন্নত করতে পারে। এই প্রভাবগুলো মূল্যায়ন করার জন্য আরও অধ্যয়ন প্রয়োজন তবে এখনও পর্যন্ত পাওয়া ফলাফলগুলো সন্তুষ্টিজনক।
এইচএন