করোনায় আক্রান্ত হলে বাড়িতে ৬ মিনিট হাঁটবেন যে কারণে
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে নানা রকম প্রচেষ্টার পরেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃতের তালিকায় যোগ হচ্ছে নতুন নাম। সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মরণঘাতি এই ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগও বেড়ে চলেছে। নিজেকে ভালো রাখতে নানা রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করছেন প্রায় সবাই।
অনেকে সংক্রমণের প্রথম দিকে বুঝতে পারছেন না যে তারা সংক্রমিত। মৃদু উপসর্গ নিয়ে ভুগছেন অনেক মানুষ। বাড়িতেই নিজেকে বন্দি করে সুস্থ হওয়ার প্রহর গুনছেন তারা। তবে সংক্রমণ যতই হালকা হোক না কেন, একে অবহেলা করার সুযোগ নেই। কারণ এই ভাইরাস যেকোনো সময় ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। তাই আক্রান্ত হলে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক আছে কি না তা নিয়মিত পরীক্ষা করাও জরুরি। করোনায় আক্রান্ত যেসব রোগী বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে কি না, হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন রয়েছে কি না সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
করোনায় আক্রান্ত রোগীর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য তাকে বাড়িতে ৬ মিনিট হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এই হাঁটার মাধ্যমে করা যাবে সহজ পরীক্ষা। ৬ মিনিট হাঁটার মাধ্যমে কী জানা যাবে? এই পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে রোগীর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক আছে কি না, এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা।
৬ মিনিট হাঁটার পরীক্ষা যেভাবে করবেন
এই পরীক্ষার জন্য বাড়িতে অক্সিমিটার থাকা চাই। হাঁটা শুরুর আগে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা মেপে দেখতে হবে। এরপর ঘরের ভেতরেই ঘড়ি ধরে ৬ মিনিট হাঁটতে হবে। হাঁটা শেষ হলে আরেকবার মাপতে হবে অক্সিজেনের মাত্রা। এতে করোনায় আক্রান্ত রোগীর শারীরিক অবস্থা বোঝা সহজ হবে।
ভারতের নয়া দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিনের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সুরঞ্জিৎ চট্টোপাধ্যায় এক পরামর্শে জানিয়েছেন, ‘করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি দিনে ২-৩ বার এই পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। আক্রান্ত হয়ে যেসব রোগী বাড়িতে থাকছেন, তাদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষা করা জরুরি। অনেক সময় কোনো লক্ষণ ছাড়াই শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যেতে পারে। তাই পরীক্ষা করা জরুরি।’
করোনায় আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে ৬ ঘণ্টা পরপর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা মেপে দেখা জরুরি। অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। এমনটাই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এইচএন/এএ