পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম নিয়ন্ত্রণের উপায়
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুসারে, পিসিওডি বা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোমে বিশ্বজুড়ে অনেক নারী। এটি হলো এমন একটি শারীরিক সমস্যা যা নারীর শরীরে হরমোনাল ইমব্যালান্স সৃষ্টি করে। এই সমস্যার কারণে শরীরে অ্যান্ড্রোজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এর ফলে নারীর ওভারিতে ছোট ছোট সিস্টের সৃষ্টি হয়। এর ফলে পিরিয়ডের সমস্যা দেখা দেয়।
মূলত অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের কারণে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোমের সমস্যা দেখা দেয়, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই জীবনযাপনের ধরন ও খাবারের অভ্যাসে পরিবর্তন আনলে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। পিসিওডিকে পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব না হলেও এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, এপিসিওডি বা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম নিয়ন্ত্রণের উপায়-
১. শরীরচর্চা
নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। এটি আপনাকে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোমের মতো সমস্যা থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করবে। নিয়মিত শরীরচর্চা করার ফলে শরীরে ইনসুলিন রেসিসটেন্স ক্ষমতা বাড়ে। যে কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা অনেকটা সহজ হয়। সেইসঙ্গে এটি হরমোনাল ইমব্যালান্সও দূর করে। তাই পিসিওডির সমস্যা থাকলে প্রতিদিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করতে হবে।
২. মেডিটেশন
ধ্যান বা মেডিটেশন পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোমের ক্ষেত্রে অন্যতম কার্যকরী উপায়। তাই নিয়মিত এটি করতে হবে। প্রতিদিন সকালে ধ্যান বা মেডিটেশন করলে মানসিক চাপ কমে অনেকটাই। পিসিওডিতে আক্রান্ত হলে মানসিক চাপ ভয়ঙ্কর হতে পারে। নিয়মিত মেডিটেশন করলে এই চাপ কমে। তাই এদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এতে সুস্থতা নিশ্চিত হবে অনেকটাই।
৩. সঠিক খাবার
পিসিওডি বা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সঠিক খাবার খাওয়া। এই সমস্যা দেখা দিলে খাবারের ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন আনা জরুরি। যারা পিসিওডিতে আক্রান্ত তারা সঠিক পুষ্টিযুক্ত খাবার খাবেন। সেইসঙ্গে অতিরিক্ত তেল, ঝাল ও মসলা জাতীয় খাবার পুরোপুরি বাদ দিতে হবে। পর্যাপ্ত শাক-সবজি ও ফল-মূল খেতে হবে। এতে পিসিওডির সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।
এইচএন