একগুঁয়ে সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখার উপায়
আমাদের চারপাশে এমন কিছু মানুষ রয়েছেন যারা নিজের মতামত অন্য মানুষের ওপর চাপিয়ে দেন। অন্য মানুষের কথায় কোনো যুক্তি রয়েছে কি না সেটি দেখতে রাজি নন এসব মানুষ। ভালোবাসার ক্ষেত্রেও এমন মানুষ থাকে। প্রায় শোনা যায়, সম্পর্কে একজন আরেকজনের ওপর নিজের মত এবং ইচ্ছা চাপিয়ে দিচ্ছেন। এই অবস্থায় বেশিরভাগ সময় সঙ্গীর সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। ভালোবাসার সম্পর্কে কোনো একজনের যদি একগুঁয়েমি থাকে তাহলে অন্যজনকে কিছুটা ছাড় দিতে হয়ই। কিন্তু ছাড় দেওয়া নিয়ে একগুঁয়েমি করা হলে জটিলতা বাধে। একগুঁয়ে মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে সামলাবেন? জেনে নেওয়া যাক-
বিদ্রুপ করবেন না
একগুঁয়ে মানুষকে নিয়ে অনেকেই বিদ্রুপ করেন। মনে রাখবেন, বিদ্রুপ করে কোনো মানুষের অভ্যাস কিংবা আচরণ বদলে ফেলা সম্ভব নয়। এতে হিতে বিপরীতও হতে পারে। কখনো কখনো বিদ্রুপ করার জন্য মানুষটি কষ্ট পেতে পারেন অথবা আরও একগুঁয়ে হতে পারেন। ফলে সমস্যা সমাধান তো হয়ই না, অনেক সময় সম্পর্কে ছাড়াছাড়ি অবধি গড়ায়। সে কারণে বিদ্রুপ না করে একগুঁয়ে মানুষের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে কথা বলুন।
জানিয়ে দিন স্পষ্ট অবস্থান
অনেক সময় একজন একগুঁয়ে ব্যক্তির জন্য অপরজনও একগুঁয়ে হয়ে যান। এতে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে থাকে। তাই নিজের একরোখা মনোভাব দূর করে অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিন। বুঝিয়ে বলুন আপনার অপারগতার ব্যাপারটি। কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণে যদি অপরজন রেগে যান, তাহলে নিজের জায়গা থেকে ভালোভাবে কারণ ব্যাখ্যা করুন। প্রয়োজনে দুজন মিলে আলোচনা করুন এবং সহজ উপায়ে সমাধানের চেষ্টা করুন। ঠান্ডা মাথায় তাকে বুঝিয়ে দিন আপনার সামর্থ্যের বিষয়টি।
তার স্থানে নিজেকে ভাবুন
সম্পর্কে একে অন্যের প্রতি ভুল বোঝাবুঝির কারণে নানাবিধ জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়। তাই ভুল বোঝাবুঝি এড়ানোর জন্য কখনো কখনো অন্য মানুষের জায়গায় নিজেকে রাখতে হয়। একগুঁয়ে মানুষটি কেন রেগে আছেন সে বিষয়ে একবার ভেবে দেখুন। তার দৃষ্টিভঙ্গীতে নিজেকে মাপুন। মনে রাখবেন, তর্ক কোনো সমস্যার সমাধান আনে না। তার কথায় যুক্তি থাকলে মেনে নিন।
এইচএকে/এইচএন/এএ