ছোলা ভাজা খাওয়ার ৫ উপকারিতা
ছোলা ভাজা খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কমই আছে। এটি সুস্বাদু একটি নাস্তা হিসেবেও বেছে নেন অনেকে। বিশেষ করে স্কুলে টিফিনের সময়ে ছোলাভাজা কিনে খাওয়ার স্মৃতি আছে অনেকেরই। আবার বন্ধু কিংবা পারিবারিক আড্ডায় ছোলা ভাজা খাওয়া হয়। একমুঠো ছোলা ভাজা প্রাণবন্ত করতে পারে আপনার ভ্রমণের সময়টাকেও। এইযে যেকোনো সময় খাওয়া হয়, তা কি কেবল এমনিতেই? নিশ্চিত থাকুন যে ছোলা ভাজা খাওয়ার উপকারিতার কথা অনেকেই জানেন না। এমনকী আপনারও হয়তো অজানা। চলুন জেনে নেওয়া যাক ছোলা ভাজা খেলে কী উপকার হয়-
১. ফাইবার এবং প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ
ফাইবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ ছোলা ভাজা শরীরে এই দুই উপাদানের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। একশো গ্রাম ছোলা ভাজার মধ্যে প্রায় ১৮ থেকে ২০ গ্রাম এই দুই পুষ্টি উপাদান থাকে। এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য আপনার পেট ভরিয়ে রাখে, ফলে ঘন ঘন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা আপনার জন্য সহজ হয়। এছাড়াও এটি শক্তির মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে এবং আপনাকে আরও সক্রিয় থাকতে কাজ করে।
২. ওজন কমাতে সাহায্য করে
ছোলা ভাজা ওজন কমাতে সহায়ক। কারণ এতে থাকে উচ্চ ফাইবার কন্টেন্ট যা আপনার পেট দীর্ঘ সময়ের জন্য ভরিয়ে রাখে। এতে কম ক্যালোরি থাকে তাই আপনাকে অতিরিক্ত ক্যালোরির বিষয়ে চিন্তা করতে হবে না। সুতরাং ডুবো তেলে ভাজা খাবার খাওয়া বাদ দিন এবং এর পরিবর্তে এক মুঠো ছোলা ভাজা বেছে নিন।
আরও পড়ুন
৩. হাড়ের জন্য উপকারী
ছোলা ভাজা আপনার হাড়ের জন্য ভালো। এটি শুধুমাত্র ফাইবার এবং প্রোটিনের একটি বড় উৎস নয়, ক্যালসিয়ামেরও। এই কারণে এটি আপনার হাড় শক্তিশালী করার জন্য বেশ উপকারী হতে পারে। যদি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম না থাকে, তাহলে বয়সের আগেই হাড়ের সমস্যা হতে পারে। আপনার খাদ্যতালিকায় ছোলা ভাজা যোগ করুন। এতে হাড় সংশ্লিষ্ট সমস্ত অসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ হবে।
৪. হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
আপনি কি জানেন যে ছোলা ভাজা হার্ট ভালো রাখতেও কাজ করতে পারে? তামা এবং ফসফরাসের উপস্থিতি একে একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হিসাবে যোগ্য করে তোলে, যা হার্টের জন্য সহায়ক। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ (এনআইএইচ) অনুসারে, ফসফরাসের মাত্রা এবং হৃদরোগের ঝুঁকির মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। এই ছোলাভাজা খাওয়ার মাধ্যমে আপনি সহজেই হার্ট ভালো রাখতে পারেন।
৫. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী
ডায়াবেটিস রোগীরাও কোনোরকম চিন্তা ছাড়াই ছোলা ভাজা খেতে পারেন। এই খাবারের গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে, যা আরও উপকারী। কম-জিআই খাবার মানে হলো যে এটি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রায় হঠাৎ ওঠানামা করবে না। এর উচ্চ ফাইবার উপাদানও গ্লুকোজের ধীর নিঃসরণে সাহায্য করে, এইভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।