ধূমপানের থেকেও বেশি ক্ষতি করে একাকিত্ব
একাকিত্ব কোনো সুন্দর বিষয় নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে অনেক ক্ষতিকর দিক। একাকিত্বের কারণে দেখা দিতে পারে শারীরিক ও মানসিক নানা সমস্যা। তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি, আমাদের দেশে এই সমস্যাকে খুব বেশি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয় না। একাকিত্ব থেকে হতাশা, উদ্বেগ এবং আত্মহত্যার প্রবণতার মতো মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার দেখা দিতে পারে হৃদরোগ, স্ট্রোক, স্মৃতিভ্রংশ এবং অকাল মৃত্যুর ঝুঁকির মতো শারীরিক সমস্যাও।
নানা কারণেই একাকিত্ব তৈরি হতে পারে। মানুষ সবচেয়ে বেশি একাকিত্বে ভুগতে পারে কোনো সম্পর্ক ভেঙে গেলে বা সেখান থেকে সরে এলে। আপনজনের মৃত্যুও এর কারণ হতে পারে। এছাড়া আরও নানা ধরনের হতাশা, বিষণ্ণতা থেকেও আসতে পারে একাকিত্ব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লুএইচও) একাকিত্বকে একটি গুরুতর বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জটিলতা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং এই সমস্যা মোকাবিলায় বেশ কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
একাকিত্ব মোকাবিলায় জাতীয় কৌশল বিকাশ ও বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গেও এক হয়ে কাজ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘আওয়ার এপিডেমিক অফ লোনলিনেস অ্যান্ড আইসোলেশন’ নামের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে যে একাকিত্ব অনেক বেশি কষ্টের অনুভূতি নিয়ে আসে - এটি ব্যক্তিগত এবং সামাজিক স্বাস্থ্য উভয়েরই ক্ষতি করে। একাকিত্বের কারণে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ, ডিমেনশিয়া, স্ট্রোক, হতাশা, উদ্বেগ এবং অকাল মৃত্যুর ঝুঁকিও বেড়ে যেতে পারে।
একাকিত্বের প্রভাব দিনে ১৫টি সিগারেট ধূমপানের মতো ক্ষতিকর, এমনটাই বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর প্রভাবে স্থূলত্ব এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তাও দেখা দিতে পারে। ফরচুন ম্যাগাজিন বলছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সামাজিক সংযোগ সম্পর্কিত একটি কমিশন চালু করবে, ‘একাকিত্বের মহামারি মোকাবিলায় প্রথম বৈশ্বিক উদ্যোগ’ নামে। এই দলের মুখ্যপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বুধবার ঘোষণা করেছেন। মার্কিন সার্জন জেনারেল বিবেক মূর্তি এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের যুব দূত চিডো এমপেম্বার নেতৃত্বে দলটি সামাজিক বিচ্ছিন্নতার স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং সমাধানের জন্য কাজ করবে।
হিন্দুস্তান টাইমস অবলম্বনে