প্রিয় পুরুষের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠবেন যেভাবে
প্রিয় মানুষের ভালোবাসা, আকর্ষণ কে না চায়! সব নারী চায় তার প্রিয় পুরুষটির মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে সে থাকুক। এই চাওয়া সব সময় পাওয়া হয়ে ওঠে না। কারণ প্রিয় পুরুষের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠার উপায় সবার জানা থাকে না। আপনি যদি চান তাকে নিজের দিকে আকর্ষণ করতে, তবে আপনার ভেতরেও তো কিছু বৈশিষ্ট্য থাকা চাই, তাই না? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. মানসিক ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুলুন
মানসিক ঘনিষ্ঠতা মানে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক। আপনার চিন্তাভাবনা, অনুভূতি এবং স্বপ্ন আপনার প্রিয় পুরুষটির সঙ্গে ভাগ করুন এবং তাকে এটি করতে উৎসাহিত করুন। দু’জনেই দু’জনের জন্য নিরাপদ হয়ে উঠুন। যেখানে উভয়ে কোনো ধরনের দ্বিধা ছাড়াই দুর্বলতা প্রকাশ করতে পারেন।
২. একসঙ্গে ভালো সময় কাটান
দু’জনে একসঙ্গে ভালো সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। এটি আপনাদের বন্ধনকে দৃঢ় করবে। একটি সুন্দর বিকেল, সাপ্তাহিক ছুটির দিনটিতে দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া কিংবা দু’জনে মিলে কোনো শখের কাজ করুন। এভাবে একে অপরকে সময় দিলে সে আপনার প্রতি আরও বেশি টান অনুভব করবে।
৩. মমতা প্রকাশ করুন
নিয়মিত তার প্রতি আপনার ভালোবাসা এবং প্রশংসা প্রকাশ করুন। অভিনন্দন, আলিঙ্গন এবং চুম্বনের মতো সাধারণ অভ্যাসগুলো আপনার প্রিয় পুরুষকে আপনার প্রতি আরও আকৃষ্ট করবে। দীর্ঘদিন একসঙ্গে সংসার করতে গিয়ে অনেক স্বামী-স্ত্রী মনে করেন ভালোবাসার কথা আলাদা করে প্রকাশ করার দরকার নেই। এটি আসলে ভুল। ভালোবাসার কথা একটু হলেও জানান দিন। এতে আপনার সঙ্গী আপনার প্রতি আকৃষ্ট থাকবে।
৪. রোমান্সকে বাঁচিয়ে রাখুন
সম্পর্কটি উষ্ণ রাখতে চাইলে তাতে রোমান্টিকতা ছড়িয়ে দিন। দারুণ কোনো উপায়ে আপনার সঙ্গীকে সারপ্রাইজ দিতে পারেন, বিশেষ তারিখগুলোতে বিশেষ আয়োজন রাখতে পারেন, অবসরে প্রিয় স্মৃতিগুলো মনে করতে পারেন। এই ছোট ছোট প্রচেষ্টাগুলো আপনার প্রতি তার টান আরও বাড়িয়ে দেবে।
৫. স্বাধীনতা থাকুক
সে আপনার প্রিয়তম পুরুষ হলেও সম্পূর্ণ আলাদা একজন মানুষ। তাই তার চিন্তা-ভাবনার সঙ্গে আপনার চিন্তা-ভাবনার কিছু অমিল থাকতেই পারে। আবার কিছু বিষয় থাকতে পারে তার একান্ত ব্যক্তিগত। হয়তো সেখানে সে অন্য কারও প্রবেশ পছন্দ করে না। তাই নিজের স্বাধীনতা বজায় রাখার পাশাপাশি তার স্বাধীনতা যেন ক্ষুণ্ণ না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। আপনার এই স্বভাব তাকে আপনার প্রতি আরও আকৃষ্ট করবে।
৬. বোঝাপড়া
দু’জনের মধ্যে বোঝাপড়া থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনোযোগ সহকারে তার কথা শুনুন এবং আপনার চাহিদা এবং আকাঙ্ক্ষাগুলো খোলাখুলি বলুন। তার দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করুন এবং দ্বন্দ্ব সমাধানের ক্ষেত্রে ধৈর্য ধরুন। পরস্পরের প্রতি আস্থা তৈরির জন্য বোঝাপড়া থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনাদের মানসিক সংযোগকে আরও গভীর করবে।