ডুমুর খাওয়ার উপকারিতা
সুস্থ থাকার জন্য আমাদের প্রচুর সবুজ শাক-সবজি খেতে বলা হয়। সেইসঙ্গে তেল এবং মসলা কমিয়ে খাবার তৈরি করাও ভালো অভ্যাস। এর পাশাপাশি মাদের খাদ্যতালিকায় শুকনো ফল যোগ করা গুরুত্বপূর্ণ। শুকনো ফল বিভিন্ন ধরনের হয়। সেসব বিভিন্ন উপায়ে খাওয়ার মাধ্যমে স্বাস্থ্য সুবিধা পাওয়া যায়। যেমন শুকনো ডুমুর খাওয়ার অনেক উপকারিতা। এই ছোট ফলগুলো ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে পরিপূর্ণ যা স্বাস্থ্যের জন্য বিস্ময়কর কাজ করে। এটি হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। শুকনো ডুমুর খেতে পারেন অথবা অতিরিক্ত উপকারিতার জন্য পানিতে ভিজিয়েও খেতে পারেন।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
ডুমুর ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে আপনার প্রাকৃতিক ঢাল হিসেবে কাজ করে। এটি পলিফেনল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা আপনার শরীরের টিস্যুগুলোকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। সেইসঙ্গে ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করে।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে
রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখা সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যক, এই বিষয়ে ডুমুর সাহায্য করতে পারে। এতে এমন উপাদান রয়েছে যা রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ইনসুলিন নিঃসরণ বাড়াতে সাহায্য করে। ডুমুর থেকে যোগ হওয়া ফাইবার রক্তে শর্করার ভালো ব্যবস্থাপনায় অবদান রাখে।
হাড় শক্তিশালী করে
আমাদের হাড়েরও যত্নের প্রয়োজন। ডুমুর খেলে তা ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি সরবরাহ করে যা হাড়ের শক্তি বাড়ায়। ডুমুরের ক্যালসিয়াম উপাদান হাড়-সম্পর্কিত অসুস্থতা থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
আপনি যদি অতিরিক্ত ঝরাতে চান তবে ডুমুর একটি মূল্যবান সহযোগী হতে পারে। এর ফাইবার উপাদান স্বাস্থ্যকর পাচনতন্ত্র বজায় রাখে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ডুমুর খেলে তা দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে, যে কারণে ঘন ঘন খাবার খাওয়ার অভ্যাস কমে। এটি আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ভেজানো ডুমুর কেন খাবেন
২ থেকে ৩টি ডুমুর সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই ডুমুর পানিসহ খেয়ে ফেলুন। এতে মিষ্টি স্বাদ যোগ করতে চাইলে আপনার গ্লাসে কিছুটা মধু যোগ করতে পারেন। দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় ডুমুর যোগ করুন। এটি হবে সুস্থতা বাড়ানোর একটি সহজ এবং আনন্দদায়ক উপায়।