গর্ভধারণ হচ্ছে না? জেনে নিন কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন
মা-বাবা হওয়ার মাধ্যমে মানুষের জীবনে নতুন দায়িত্ব যুক্ত হয়। অনেক দম্পতি দ্রুতই সন্তানের মুখ দেখতে চান। কিন্তু কারও কারও ক্ষেত্রে দেরি হয়ে যায়। বারবার চেষ্টার পরেও ব্যর্থ হলে ভেঙে পড়েন অনেকেই। মনে তখন নানা আশঙ্কা জন্ম নেয়। কবে কোলজুড়ে সন্তান আসবে সেই আশায় সময় কাটতে চায় না যেন।
সন্তান ধারণের প্রস্তুতি নেওয়ার পরেও অনেকের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ নারীই ত্রিশের পরে সন্তান ধারণের কথা ভাবেন। এরকম ক্ষেত্রে সমস্যা বাড়তে পারে। কারণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৩০ বছরের পর থেকেই ডিম্বাণুর গুণমান কমতে থাকে। নারীর বয়স ৩৫ পার হলে তা আরও কমে যায়। যে কারণে গর্ভধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা বাড়তে শুরু করে।
মা-বাবা হওয়ার জন্য দুজনকেই শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে এবং মানসিকভাবেও প্রস্তুত থাকতে হবে। কয়েকবার চেষ্টার পরে ব্যর্থ হলেই মন খারাপ করার কারণ নেই বা ডাক্তারের কাছে ছোটাছুটি করার প্রয়োজন নেই। অন্তত কয়েক মাস প্রচেষ্টার পরেও ব্যর্থ হলে তখন বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ হতে হবে।
আরও পড়ুন
ভারতের ফার্টিলিটি অ্যান্ড আইভিএফ সেন্টারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সৌরীন ভট্টাচার্য বলছেন, ৩৫ বছরের আগেই গর্ভধারণের চেষ্টা করা ভালো। এই বয়সের আগে প্রতি মাসেই অসুরক্ষিত যৌনতা করা জরুরি। অনেকে এক-দুইবার প্রচেষ্টার পর গর্ভধারণ না হলে নানা আশঙ্কায় ভুগতে থাকেন। এমনটা করা যাবে না। বরং চাপমুক্ত থাকতে হবে।
চিকিৎসকের পরামর্শ, অন্তত ১২ মাস নিয়মিত যৌনমিলন করা উচিত। তাতেও সমস্যা না মিটলে তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তখন প্রয়োজনীয় চিকিৎসার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে দম্পতিকে।
হিন্দুস্তান টাইমস অবলম্বনে