৫ কাজে ব্যবহার করতে পারেন রসুনের খোসা
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে সর্দি-কাশির ঘরোয়া সমাধানে রসুনের কদর অনেক। বাড়িতে আমিষ কোনো পদ রান্না হলে তা জানান দেওয়ার অর্ধেক দায়িত্ব তো রসুনের উপরেই গিয়ে পড়ে। কিন্তু রসুনে যত গুণ, তার খোসাও কি ততটা গুণের অধিকারী?
পুষ্টিবিদরা বলছেন, রসুনের খোসায় রয়েছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। তা শরীরের নানা উপকারে লাগে। এছাড়া গাছের জন্য কম্পোস্ট সার তৈরি করতেও ব্যবহার করা যায় রসুনের খোসা।
ফেলে দেওয়া রসুনের খোসা আর কী কী কাজে লাগে?
১. রসুন তেল
পরিষ্কার কাচের শিশিতে রোদে শুকনো করে গুঁড়ো করা রসুনের খোসা এবং অলিভ অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে রাখতে পারেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে তেলের ওই শিশি রোদে বসিয়ে রাখলেই তৈরি হয়ে যাবে রসুনের তেল। সালাদের ড্রেসিং হিসেবে অনেকে এ তেল ব্যবহার করে থাকেন।
২. ফ্লেভারড ভিনেগার
ভিনেগারের নিজস্ব গন্ধ খুব একটা ভালো নয়। অথচ রান্নার কাজে তা ব্যবহার করতেই হয়। তাই ভিনেগারের বোতলে বেশ কিছু রসুনের খোসা যদি রেখে দেওয়া যায়, তাহলেই হলো। যেকোনো রান্নায় বা সালাদে ব্যবহার করা যায় এই ভিনেগার।
৩. জৈব সার তৈরি
রসুনের খোসা ফেলে না দিয়ে আনাজের খোসা, ডিমের খোসার সঙ্গে মিশিয়ে ফেলতে পারেন। গাছের পুষ্টি বাড়িয়ে তুলতে এই জৈব সারের কোনো বিকল্প নেই।
৪. চা তৈরি
আবহাওয়া পরিবর্তনে সাধারণ ঠান্ডা লাগা বা জ্বর-সর্দিতে দারুণ কাজ করে রসুনের চা। কিন্তু রসুনের ঝাঁঝালো গন্ধ অনেকেই সহ্য করতে পারেন না। তবে চায়ে রসুনের বদলে রসুনের খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে। রসুনের মতো এত গন্ধ হবে না, আবার সব গুণাগুণ বজায় থাকবে।
৫. স্যুপ তৈরি
রসুনের খোসা পরিষ্কার করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে কাচের শিশিতে ভরে রাখতে পারেন। হঠাৎ রসুন শেষ হয়ে গেলে তার বিকল্প হিসেবে স্যুপ, স্টু, নুডলস– সব কিছুতেই ব্যবহার করা যাবে।
/এসএসএইচ/