চুল লম্বা করতে চান? পেয়ারা পাতা এভাবে ব্যবহার করুন
চুল পড়া কিংবা চুলের অন্যান্য সমস্যা নিয়ে আমাদের অনেককেই ভুগতে হয়। অনেক নামী-দামী ট্রিটমেন্ট বেছে নিয়েও উপকার পান না অনেকে। এরকম ক্ষেত্রে আপনার জন্য রয়েছে আশ্চর্য এক উপাদান। বলছি পেয়ারা পাতার কথা। এই পাতা হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়। করতে হয় না কোনো খরচও। শুধু পাতা নিয়ে এসে পদ্ধতি মেনে ব্যবহার করলেই পাবেন চমৎকার উপকার। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত-
পেয়ারা পাতার উপকারিতা
পেয়ারা পাতা ফলের মতোই দুর্দান্ত, যা পুষ্টির পাওয়ার হাউস এবং ব্যাপক জনপ্রিয়ও। ফলের মতো পাতায়ও ভিটামিন বি এবং সি রয়েছে, যা চুলের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় কোলাজেন বাড়াতে সাহায্য করে। পেয়ারা পাতার উপকারিতা অনেক। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা মাথার ত্বক স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে কোলাজেন উন্নত করে। লাইকোপিন উপাদান সূর্যের UV রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয়। পেয়ারা পাতা হলো ভিটামিন সি-এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং কোয়ারসেটিনের মতো ফ্ল্যাভোনয়েডের একটি পাওয়ার হাউস যা আমাদের স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্যের জন্য বিভিন্ন উপকার নিয়ে আসে।
পেয়ারা পাতা কীভাবে ব্যবহার করবেন
আমরা অধিকাংশই পেয়ারা পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে অবগত নই, মেক্সিকো এবং দক্ষিণ আমেরিকার কিছু অংশে এটি বহু শতাব্দী ধরে ঐতিহ্যবাহী ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আপনার নিয়মিত চুলের যত্নের প্রক্রিয়ায় পেয়ারা পাতা যোগ করুন। এই পাতা আপনার চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। এটি শতভাগ প্রাকৃতিক। যার মানে আপনার কোনো ক্ষতিকারক প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে চিন্তা করার দরকার নেই। পেয়ারা পাতা ব্যবহার করে চা তৈরি করে নিয়মিত পান করতে পারেন বা আপনার চুল এবং মাথার ত্বকে লাগাতে লোশন তৈরি করতে পারেন। এক মুঠো পেয়ারা পাতা, এক লিটার পানি এবং উপাদানগুলো ফুটানোর জন্য একটি পাত্র হলেই আপনি এটি তৈরি করতে পারবেন।
পেয়ারা পাতাগুলো ২০ মিনিটের জন্য পানিতে ফুটিয়ে নিন। মিশ্রণটি ছেঁকে নিন এবং ঘরের তাপমাত্রায় ঠান্ডা হতে দিন। পরিষ্কার চুলে এই মিশ্রণ ব্যবহার করতে হবে। তাই গোসল করার পরে এটি ব্যবহার করা ভালো।
আপনার চুল প্রায় শুকিয়ে গেলে তা ভাগ করুন এবং পেয়ারা পাতার মিশ্রণ ব্যবহার করা শুরু করুন। এটি আপনার মাথার ত্বকে কমপক্ষে ১০ মিনিটের জন্য ম্যাসাজ করুন এবং পুরো মাথার ত্বকে লাগিয়ে নিন। ম্যাসেজ রক্তচাপ উন্নত করে, যা ফলিকলগুলোকে বেশি পুষ্টি পেতে সাহায্য করে। এভাবে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত রেখে দিতে পারেন। চাইলে একটি তোয়ালে দিয়ে চুল মুড়িয়ে রাখতে পারেন।
ঘণ্টা দুই পর চুল হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তবে পানি যেন খুব বেশি গরম না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। কারণ গরম পানি চুল এবং মাথার ত্বককে শুষ্ক করে দেয়। চুল পড়ার সমস্যা থাকলে পেয়ারা পাতার মিশ্রণটি সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করুন। যদি চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে এবং আপনার চুলকে চকচকে রাখতে এটি ব্যবহার করেন তবে এটি সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করুন।