কিডনি ভালো রাখতে যেসব ফল খাবেন
কিডনি ভালো রাখার জন্য খাবারের দিকে নজর রাখতে হবে। কারণ আমরা যা খাই, তার প্রভাব পড়ে কিডনিসহ পুরো শরীরেই। কিছু খাবার আছে যেগুলো কিডনির জন্য ক্ষতিকর। তবে চিন্তার কারণ নেই, এমন অনেক খাবার আছে যেগুলো খেলে কিডনি ভালো থাকে, কিডনিতে পাথর জমতে পারে না। সেসব খাবারের মধ্যে অন্যতম হলো কিছু ফল। সেসব ফল খেলে অন্যান্য উপকারিতা তো মিলবেই, সেইসঙ্গে ভালো থাকবে কিডনিও। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন ফলগুলো খাবেন-
সাইট্রাস জাতীয় ফল
লেবু, কমলা, মাল্টা, জাম্বুরা, আঙুর এই ধরণের ফলকে বলা হয় সাইট্রাস ফল। এসব ফল শুধু দেখতে বা খেতেই ভালো নয়, এগুলোতে থাকে নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা। সাইট্রাস ফলে থাকে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং কপার। তবে ভিটামিন সি এর পরিমাণটা বেশি থাকে। যে কারণে এ জাতীয় ফল খেলে তা শরীরের অন্যান্য অঙ্গের পাশাপাশি কিডনি ভালো রাখতেও কাজ করে। বিশেষ করে কিডনিতে পাথর হওয়া রোধ করে। তাই নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখুন সাইট্রাস জাতীয় ফল।
বেদানা
বেদানা খেলে স্মৃতিশক্তি প্রখর হয় এমনটাই মত অনেক বিশেষজ্ঞের। সেইসঙ্গে এটি শরীরের রক্তের অভাব পূরণ করে। ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও করে এই ফল। বেদানায় থাকে প্রচুর ভিটামিন কে, সি ও ভিটামিন বি-সহ ফাইবার। পাশাপাশি পটাশিয়াম, জিংক, ওমেগা ৬, ফ্যাটি অ্যাসিডেরর মত প্রচুর মিনারেলও উপস্থিত রয়েছে এই ফলে। বেদানায় থাকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কিডনিতে পাথর জমতে দেয় না। নিয়মিত বেদানা খেলে কিডনি ভালো থাকে।
বেরি জাতীয় ফল
বেরি জাতীয় ফলে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপকরণ। এসব উপকরণ শরীরে ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহজনিত সমস্যা কমাতে কাজ করে। যে কারণে শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। ব্লুবেরি ও স্ট্রবেরির মতো ফল রাখতে পারেন প্রতিদিনের খাবারের তালিকায়। এ ধরনের ফলে অক্সালেটের পরিমাণ কম থাকে, সেইসঙ্গে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ থাকে বেশি। তাই এ জাতীয় ফল খেলে কিডনির স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।
এবং পানি পান করুন
এটি ফলের তালিকায় নেই। তবু বলা জরুরি যে, কিডনি ভালো রাখতে হলে আপনাকে পর্যাপ্ত পানি পান করতেই হবে। সারাদিন বিরতি দিয়ে দিয়ে পানি পান করুন। তবে খাবার খাওয়ার সময় বা পরপরই পানি পান করবেন না। খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে বা পরে পানি পান করুন। প্রতিদিন অন্তত তিন লিটার পানি পান করার চেষ্টা করুন। এতে কিডনি তো ভালো থাকবেই, সেইসঙ্গে সার্বিকভাবে সুস্থ থাকাও সহজ হবে।