চুল বেঁধে ঘুমালে কী হয়?
ঘুমের সময়ের কিছু অভ্যাস আমাদের জন্য উপকারী হতে পারে, কিছু হতে পারে ক্ষতিকর। যেমন ধরুন আপনার শোয়ার ভঙ্গীর ওপর নির্ভর করে অনেককিছু। আবার ঘুমের আগে খাবার খেলে হতে পারে হজমে সমস্যা। এমনকী আপনার চুল বেঁধে ঘুমাচ্ছেন নাকি খোলা রাখছেন তাও প্রভাব ফেলতে পারে শরীরে। চুল বেঁধে ঘুমানোর অভ্যাস থাকে অনেকেরই। এই অভ্যাস কি আপনার জন্য উপকারী নাকি ক্ষতিকর? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
অনেকে মনে করেন চুল টেনে বাঁধলে চুল দ্রুত লম্বা হয়। এটি আসলে ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, টাইট করে চুল বাঁধলে চুলের গোড়ায় টান পড়ে। তখন চুলের গোছা গোড়া থেকে আলগা হতে শুরু করে। তখন সামান্য টান পড়লেই উঠে আসে চুল, এমনকী চুল মাঝখান থেকেও ভেঙে যেতে পারে।
আপনি যদি চুল বেঁধে ঘুমাতে যান তাহলে ঘুমানোর সময়ে অজান্তেই চুলে টান পড়ে। তাই টাইট করে চুল বেঁধে ঘুমাতে নিষেধ করেন বিশেষজ্ঞরা। তবুও আপনি যদি আঁটসাঁট করে চুল বেঁধে ঘুমাতে যান তাহলে সকালে ঘুম থেকে উঠে চুল পড়তে দেখতে হতে পারে।
চুল ভালো রাখতে হলে টেনে চুল বাঁধবেন না। কারণ এভাবে বাঁধলে চুলের গোড়ায় টান পড়ে। এতে চুল ছিঁড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। দুর্বল হয়ে যেতে পারে চুলের গোঁড়াও। চুল ছোট হলে খোলা রাখতে পারেন। বড় চুলে হালকা বেণী করতে পারেন। চুল পরিষ্কার কাপড়ে বেঁধে শোয়া অভ্যাস করুন। এতে গোড়ায় টান পড়ে না। ফলে চুল পড়ার ভয়ও থাকে না।
চুল বাঁধার ক্ষেত্রে কাপড়ের হেয়ার ব্যান্ড ব্যবহার করুন। সিল্ক বা সুতির কাপড়ে চুল জড়িয়ে ঘুমানোর অভ্যাসই ভালো বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এতে চুলে ঘষা লাগে না। চুল সুরক্ষিত থাকে। ফলে চুল পড়ে না। চুল আঁচড়ানোর সময় মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করবেন। কাঠের চিরুনি ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো।