যোগাসনের জন্য উপযুক্ত অ্যাপ বাছাই করবেন কীভাবে?
ব্যস্ততম জীবনে আলাদা করে সময় বার করে সব সময় জিমে যাওয়ার সুযোগ থাকে না। তাই অনেকেই জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানোর বদলে ভরসা রাখেন যোগাসনে। অনেকেই বিভিন্ন অনলাইন ক্লাসে ভর্তি হন। তবে অনলাইন প্রশিক্ষণ বেশ সময়সাপেক্ষ। তাছাড়া যারা প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, তাদের সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে ক্লাস করতে হয়। আর এই সময় দিতে না পারার কারণে মাঝপথে ছেড়েও দিতে হয় অনেককে।
এছাড়া বেশ অনেক টাকা বিনিয়োগও করতে হয়। এত কিছু ভেবে অনেকেই পিছিয়ে আসেন। ইউটিউবে কিন্তু এই যোগাসনের নানা ভিডিও পেয়ে যাবেন। সেক্ষেত্রে সময় মতো শরীরচর্চা করে নিতে পারেন। আর আলাদা করে কোনো খরচ নেই। ইউটিউবে এই ধরনের ভিডিওর অভাব নেই। যোগাসনের কিছু অ্যাপও রয়েছে। সেগুলোরও সাহায্য নিতে পারেন। কিন্তু কোনগুলো সত্যিই কার্যকরী হবে, তা বুঝবেন কীভাবে?
১) ওজন ঝরানো, এমনি ফিট থাকা না কি অন্য কোনও বিষয়— যোগাসনের করার কারণটি আগে খুঁজে বের করুন। সেই অনুযায়ী অ্যাপ খুঁজে বের করুন। সব অ্যাপেই এক ধরনের যোগাসন করানো হয় না। তাই কোথাও যুক্ত হওয়ার আগে সমস্ত বিষয়ে খুঁটিনাটি জেনে নেওয়া জরুরি।
২) যে অ্যাপ থেকে যোগাসন প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন সেটি যেন ল্যাপটপ, ট্যাব কিংবা অন্য কোনও যন্ত্রেও খুলতে পারেন। তাহলে আপনারই সুবিধা।
৩) অ্যাপ ব্যবহারে কোনও যান্ত্রিক সমস্যা হচ্ছে কি না, তা দেখে নিন। প্রশিক্ষণ নেওয়ার মাঝে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি হলে আপনারই মনঃসংযোগ নষ্ট হবে।
৪) অ্যাপে ব্যক্তিগত কোনও তথ্য চাইলে তা এড়িয়ে যান। মোবাইল নম্বর ও ইমেইল আইডি পর্যন্ত ঠিক আছে। তার চেয়ে বাড়তি কোনও তথ্য দেওয়া একেবারেই ঠিক হবে না।
৫) অ্যাপের গ্রাহক পরিষেবা কেমন তা ব্যবহারের আগে যাচাই করে নেওয়া জরুরি। অ্যাপ ব্যবহার করতে গিয়ে কোনও সমস্যায় পড়লে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে সংস্থার পক্ষ থেকে কোনও সাহায্য পাবেন কি না, তা জেনে রাখা প্রয়োজন।
৬) যোগাসন করলেই হল না, ভঙ্গিও সঠিক হওয়া জরুরি। যেখান থেকে প্রশিক্ষণ নেবেন বলে ঠিক করছেন, দেখে নিন যোগাসনের ভঙ্গি আদৌ সঠিক কি না। অ্যাপে যে ভাবে যোগাসন করার কথা বলা হচ্ছে, তেমনটি করতে আপনার কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, তা দেখে নিন।
কেএ