এই মসলাগুলো ওজন কমাতে সাহায্য করে
বাড়তি মেদ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। বাড়তি মেদ থেকে মুক্তির জন্য খাবারে এমন কিছু মসলা ব্যবহার করা যায় যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আদা, গোলমরিচ, দারুচিনিসহ কয়েকটি মসলা খাওয়ার অভ্যাস করলে দ্রুত ওজন কমানো সম্ভব।
মেথি
দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে মেথি। বাড়তি মেদ কমিয়ে আনতে মেথি খাওয়া উচিত। চিকিৎসকরা সবসময় দ্রুত মেদ কমাতে মেথি খাওয়ার ওপর গুরুত্ব দেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও মনে করেন মেথি খেলে দ্রুত ওজন কমে যায়।
এলাচ
টর্পিন, টপিনিনোল, সিনিওল, এসিটেট, টপিনিলসহ আরও রাসায়নিক উপাদান রয়েছে এলাচ। এলাচ খেলে শরীরে বাড়তি মেদ তৈরি হয় না। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা দ্রুত ওজন কমাতে এলাচ খাওয়ার পরামর্শ দেন।
দারুচিনি
ওজন কমাতে বিশেষভাবে সহায়ক দারুচিনি। নিয়মিত দারুচিনি খেলে ক্ষুধা কমে যায়। ফলে মসলাটি দ্রুত বাড়তি মেদ কমাতে সাহায্য করে। যারা দ্রুত ওজন কমাতে চান তারা খাবার তালিকায় দারুচিনিকে প্রাধান্য দেন।
আদা ও হলুদ
আদা কেবল সর্দি-কাশিতেই উপকারী নয়, ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও এতে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। শরীরের চর্বি দূর করে নেয় আদা। এছাড়া হলুদের বিশেষ গুণ হলো শরীরের ফ্যাট টিস্যু নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে দ্রুত ওজন কমে যায়।
কাঁচা মরিচ
কাঁচা মরিচে অ্যাকজেলিক অ্যাসিড, কিউনিক অ্যাসিড, অ্যামিনো অ্যাসিড, এস্কার্বিক অ্যাসিড, সাক্সিনিক অ্যাসিড, সিকিমিক অ্যাসিড, ফোলিক অ্যাসিড, সাইট্রিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড, মেলানিক অ্যাসিড, আলফা এমিরন, ক্যান্সিডিনা, ক্যারোটিন্স, ক্রিপ্টোক্যানসিন, ফ্ল্যাভনয়েডসসহ আরও উপাদান রয়েছে। এসব উপাদান শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গবেষণায় দেখা গেছে, মেটাবলিজম বাড়িয়ে ক্যালরি বার্ন করতে সহায়তা করে কাঁচা মরিচ।
মৌরি
ক্ষুধা কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে মৌরি। মসলাটি পাকস্থলীকে সুস্থ রাখতে অনেক উপকারী। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ওজন কমানোর জন্য সবসময় মৌরি খাওয়ার পরামর্শ দেন।
ইসবগুল
ইসবগুল পেট পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে। হজম ক্ষমতা বাড়ায়। প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে ইসবগুল খেলে ওজন কমবে। চিকিৎসকরা অনেক সময় পরামর্শ দেন, দিনে দুবার খাবার খাওয়ার ১০ মিনিট আগে তিন চামচ ইসবগুল খাওয়ার পরামর্শ দেন।
জিরা
বদ হজম ও খাবারে অরুচি কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে জিরা। পাইলসের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তি মিছরির সঙ্গে জিরা মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন। নিয়মিত জিরা খাওয়ার মধ্য দিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
এইচএকে/এএ