আপনার হাঁচিতে দুর্গন্ধ হলে আজই সাবধান!
হাঁচিতে দুর্গন্ধ হয় এবং সেটি বেশিরভাগ সময়ই আমরা খেয়াল করি না। আর সেই দুর্গন্ধ হাঁচির পিছনে রয়েছে মারাত্মক এক রোগ। প্রথমেই জানা দরকার গন্ধ হাঁচির কারণ কী?
নাকের গহ্বরে জ্বালা, কাশি, সংক্রমণ, অ্যালার্জির কারণে সাধারণত বিরক্তিকর অ্যালার্জেনগুলি (যেমন পরাগ বা ধূলিকণা), পরিবেশ দূষণকারী বা জীবাণু যেমন ভাইরাস বাতাসের সঙ্গে জোরে বেরিয়ে যায়। এককথায়- আপনার শরীর যে জিনিসগুলি দূর করতে চায়, তা হাঁচির মাধ্যমে বের করে দেয়।
আমাদের নাক পরিষ্কার করার বা "রিসেট" করার একটি প্রাকৃতিক উপায় হচ্ছে হাঁচি। কিন্তু এমন কিছু সময় আছে যখন হাঁচিতে দুর্গন্ধ হয়, তাই গন্ধের উৎপত্তি এবং এর অর্থ কী তা পরীক্ষা করার প্রয়োজন হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, গন্ধ হাঁচির কারণ হতে পারে মুখে দুর্গন্ধ, টনসিলে পাথর, সাইনোসাইটিস, ফ্যাস্টোসমিয়া এবং প্যারোসমিয়া, মুখের সংক্রমণ, নির্দিষ্ট কিছু খাবার। গন্ধেরও প্রকারভেদ রয়েছে। কখনও তা মিষ্টি, কখনও টক এবং বেশিরভাগ সময় অ্যামোনিয়ার মতো ঝাঁঝাল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাইনাস গ্রন্থি থেকে নির্গত রস অনেক সময়ই আমাদের নাকের ছোট ছোট গহ্বরে থেকে যায়। সেগুলো জমে গিয়ে শক্ত হয়ে নাকেই থেকে যায়। জোরে হাঁচির সময় সেগুলি বেরিয়ে যেতে পারে।
জোর হাঁচির সময় সেই জমে যাওয়া শক্ত রস অত্যন্ত জোরে বেরিয়ে পড়ে এবং তা থেকে দুর্গন্ধ নির্গত হয়। তবে এই গন্ধ যদি অতিরিক্ত খারাপ মনে হতে শুরু করে তাহলে কিন্তু অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সাইনাস গ্রন্থিতে সংক্রমণের কারণে যদি এটি হয়ে থাকে তবে আপনাকে অবশ্যই এর পরীক্ষা ও চিকিৎসা করাতে হবে। কারণ সাইনোসাইটিসে আক্রান্ত হলে খুবই কষ্ট পেতে হবে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার ক্ষেত্রে।
হাঁচিতে দুর্গন্ধ দূর করার কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি-
মাঝে মধ্যে লবণ পানিতে নাক ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে পারেন। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। দাঁত ও মুখ পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। সূত্র- নিউজ ১৮
এমজে