নবজাতককে কীভাবে গোসল করাবেন
ছোট্ট একটা তোয়ালের মধ্যে শরীরটা কী করলে একটু বেশি আরাম পাবে, সেই চিন্তা সদ্যজাত শিশুর বাবা-মার। হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার প্রথম দুএক দিন গোসল না না করালেও চলে। তবে গরমকালে অনেকেই গোসল করান জরুরি বলে মনে করেন। নবজাতক শিশুকে কীভাবে গোসল করাবেন, অনেকের এ নিয়েও চিন্তায় থাকেন।
গোসলের আগে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন;
এক.
শুরুতে গামলায় খুব বেশি পানি দেওয়া যাবে না। পানির পাত্রে আধশোয়া অবস্থায় থাকলে শিশুর কাঁধ পর্যন্ত যেন পানি না পৌঁছায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবে শিশুর গায়ে পানি ঢালার আগে নিজে হাত দিয়ে দেখে নিন পানির তাপমাত্রা কেমন আছে—একেবারে ঠাণ্ডাও নয় আবার একেরে গরম পানিও নয়।
দুই.
শিশুর গা থেকে পোশাক খোলার আগে চেষ্টা করুণ ঘরের সব দরজা-জানলা বন্ধ রাখার। যেন বাইরের বাতাস সরাসরি শিশুর গায়ে না লাগে। শুরুতে শিশুর পায়ের পাতা ধীরে ধীরে পানির মধ্যে রাখতে হবে। পানির তাপমাত্রার সঙ্গে শিশুর শরীর খাপ খাইয়ে নিতে শুরু করলে ধীরে ধীরে গায়ে পানি দেওয়া যেতে পারে।
তিন.
পানি ঢালার পর শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি মাইল্ড তরল সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে আলাদা করে সাবান না দেওয়াই ভালো। গোসল হয়ে গেলে গামলার পানি ফেলে দিতে হবে। এ বার মাথায় শ্যাম্পু করানোর জন্য একটু নরমাল পানি নিতে হবে। শিশুকে কোলের মধ্যে রেখে শুধু মাথাটুকু ভিজতে পারেন।
চার.
নরম ও সুতি কাপড় ভিজিয়ে এতে শ্যাম্পু নিয়ে মাথার সামনে থেকে পিছন পর্যন্ত হালকাভাবে ঘষে মাথা পরিষ্কার করতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, চোখে যেন পানি না আসে। শ্যাম্পুর ফেনা চোখে লাগলে শিশুরা বেশ অস্বস্তিতে পড়তে পারে। তাই সে দিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
পাঁচ.
সব কাজ শেষ হয়ে গেলে এবার শুকনো তোয়ালে দিয়ে ভালো করে শিশুর গা মুছিয়ে নিতে হবে। মাথার জন্য আলাদা তোয়ালে ব্যবহার করাই ভালো। গোসল শেষে আলাদা তোয়ালে দিয়ে গা মুছে দিয়ে পোশাক পরাতে হবে। পাশে পাউডার রাখলে ভালো।
এমএসএ