প্রস্রাবে দুর্গন্ধের কারণ হতে পারে এই ৪ খাবার
আপনি সুস্থ একজন মানুষ। দিনের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই অনেকবার প্রস্রাব করতে হয়। প্রস্রাব স্বচ্ছ, কখনো হয়তো হালকা হলদেটে। হয়তো প্রস্রাবে কখনো কখনো হালকা গন্ধও হতে পারে। তবে এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। কিন্তু আপনার প্রস্রাবে যদি খুব বেশি দুর্গন্ধ হয় তবে তা স্বাভাবিক নয়। এমন অবস্থায় নিশ্চিন্ত থাকা যায় না। এই সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেওয়াই ভালো।
যদি হঠাৎ করেই প্রস্রাবে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয় তবে হতে পারে তা কিছু খাবার খাওয়ার কারণে। কিছু খাবার আছে যেগুলো প্রস্রাবে দুর্গন্ধের জন্য দায়ী হতে পারে। আসলে এমন অনেক খাবারই আছে যা প্রস্রাবে কম-বেশি দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে। তবে কিছু খাবার আছে যেগুলো সব সময়ের জন্যই প্রস্রাবে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৪টি খাবার সম্পর্কে-
কফি
নিয়মিত কফি পান করলে দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব হতে পারে। কফিতে থাকা যৌগ প্রস্রাবে তীব্র গন্ধের সৃষ্টি করতে পারে। সেইসঙ্গে ক্যাফেইন মূত্রবর্ধকও। তাই বেশি কফি খেলে বেশি প্রস্রাব হতে পারে এবং শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যেতে পারে। এতে প্রস্রাব ঘন হয়ে তীব্র দুর্গন্ধ সৃষ্টি হতে পারে। তাই প্রতিদিন কফি খাওয়ার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখুন। দিনে দুই কাপের বেশি কফি পান না করাই ভালো।
রসুন এবং পেঁয়াজ
রসুন এবং পেঁয়াজে সালফারযুক্ত রাসায়নিক থাকে। এগুলো ভেঙে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আপনার প্রস্রাবে দুর্গন্ধের সৃষ্টি করতে পারে। এই গন্ধকে সাধারণত পচা বাঁধাকপি বা পচা ডিমের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। তাই রসুন কিংবা পেঁয়াজ অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
মসলা
জিরা, হলুদ এবং ধনিয়া জাতীয় মশলা প্রস্রাবের দুর্গন্ধ সৃষ্টি করতে পারে। কারণ যেসব সুগন্ধি রাসায়নিক মশলাগুলো গন্ধ সৃষ্টি করে তা শরীরের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময়ও বজায় থাকে। এমনকী খাবার হজম হওয়ার পরেও প্রস্রাবে গন্ধটি শনাক্ত করা যেতে পারে।
কখন দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে?
এনএইচএস-এর মতে, দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব সাধারণত উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো বিষয় নয়, তবে আপনার যদি অন্যান্য সংক্রমণ যেমন ব্যথা থাকে, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি প্রস্রাব করেন বা প্রস্রাব ঘোলাটে দেখায়, তাহলে তা হতে পারে আপনার মূত্রনালীর সংক্রমণ (ইউটিআই)। টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং কিডনিতে পাথরের মতো সমস্যার কারণে কম দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব হতে পারে, তাই প্রস্রাবে দুর্গন্ধ নিয়ে চিন্তিত থাকলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।