করোনাভাইরাস ভালোবাসার যে ৭ বিষয় শিখিয়েছে
দৈনন্দিন জীবনে করোনা মহামারি এনেছে অনেক পরবর্তন। বিশ্বব্যাপী মহামারি মোকাবেলায় অনেক মানুষের নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে মাস্ক। আমরা এখন বারবার হাত পরিষ্কার করার গুরুত্ব অনুভব করছি। জোর দিচ্ছি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে। ভালোবাসার সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই মহামারি আমাদের এমন অনেক কিছু শিখিয়েছে যেগুলো আগে আমরা তেমন গুরুত্ব দিইনি।
ভালোবাসা কী এবং কীভাবে চোখের নিমেষেই প্রিয় মানুষ হারিয়ে যান- করোনা মহামারি সেটিই চোখে আঙুল দিয়ে আমাদের দেখিয়েছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা এ মহামারি আমাদের ভালোবাসা বিষয়ক ৭ বিষয় শিখিয়েছে।
ছেড়ে না যাওয়া
লকডাউনের মধ্যে পরিবার ও বন্ধুদের চাপে পড়ে অনেকেই সম্পর্ক ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। আবার ভার্চুয়াল বিশ্বের কল্যাণে অনেকেই ভিডিও কলের মাধ্যমে বিয়েও করেছেন। করোনা মহামারি আমাদের জানিয়ে গেছে যে, ভালোবাসা ও মনের টান থাকলে কাউকে ছেড়ে যাওয়া সম্ভব হয় না।
একসঙ্গে আছি
বিপদে-আপদে সবসময় পাশে থাকলেও করোনা মহামারি আমাদের স্পর্শকাতর করে তুলেছে। প্রিয় মানুষের সঙ্গে দেখা করাও অনেকের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। এমতাবস্থায় ভালোবাসায় গভীর অনুরাগ সৃষ্টি হচ্ছে এবং অনেকেই মনে করছেন যে সরাসরি দেখা করতে না পারলেও অনলাইনের মাধ্যমে আমরা একসঙ্গে আছি।
ভেঙে পড়লে চলবে না
লকডাউনের কারণে আমরা অনিচ্ছাসত্ত্বেও ঘরবন্দী হয়ে পড়েছি। করোনা মহামারি আমাদের চিন্তাভাবনার জগতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। সীমিত পরিসরে চলাফেরার মাধ্যমে আমরা ধৈর্যধারণ ও ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে শিখেছি। আমরা এখন মনে করছি- সহজে ভেঙে পড়লে চলবে না।
আস্থার অভাবে ভাঙছে সম্পর্ক
করোনা মহামারির কারণে অনেক মানুষ সঙ্গীর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সরাসরি যোগাযোগ না হওয়ার কারণে সম্পর্কে অনাস্থা চলে আসছে এবং অনেকের সম্পর্ক ভেঙে যাচ্ছে। কারণ ভালোবাসার মূল ভিত্তিই হলো আস্থা।
ভালোবাসা মানে না বাধা
বিশ্বব্যাপী লকডাউনের কারণে যখন সবাই ঘরবন্দী জীবনযাপন করছেন, তখন অনেকে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে বেছে নিচ্ছেন ডিজিটাল প্রযুক্তি। ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবারসহ আরও নানা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে অনেকে পরস্পরের খোঁজ নিচ্ছেন। ফলে করোনা মহামারি আমাদের এটাও জানিয়ে দিয়েছে যে ভালোবাসা মানে না বাধা।
কাছে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা
করোনা মহামারির কারণে অনেক ভালোবাসার সম্পর্ক নিমেষেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। অনেকে তাই কাছে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। প্রতিটি মুহূর্তকে তারা অনুভব করছেন হৃদয় দিয়ে। পারস্পরিক বন্ধন যেন ছিন্ন না হয় সে কারণে অনেকে একসঙ্গে থাকতে চাইছেন।
‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’
করোনা মহামারি আঘাত হানার আগে সঙ্গীকে প্রায়শই বলা হতো- ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’। কিন্তু মহামারির সময়ে তা বলা সম্ভব নয়। তাই ঘরে বসে একাকী সময় না কাটিয়ে সঙ্গীকে সময় দিন। সঙ্গীকে সাহায্য করুন অফিস কিংবা ঘরোয়া কাজে। এভাবে ভালোবাসি না বলেও সঙ্গীকে কাছে রাখা যায়।
টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে এইচএকে/এইচএন/এএ