৭ দিনে ৭ উপায়ে ওজন কমান
ওজন কমানো বর্তমান সময়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এর কারণ হলো আমাদের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। রুটিন মেনে চলতে না পারা ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। বর্তমানে রাতে দেরিতে ঘুমানো এবং সকালে দেরিতে ওঠার অভ্যাস প্রায় সবারই। এতে করে শরীর একটুতেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছে না। ঘুম এবং খাবারে অনিয়মের কারণে বাড়ছে ওজন। আবার ওজন বৃদ্ধির কারণে দেখা দিচ্ছে নানা অসুখ।
শরীরচর্চা করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে একথা প্রায় সবারই জানা। কিন্তু শরীরচর্চার ব্যাপারে বেশিরভাগই থাকেন উদাসীন। আবার অনেকের ইচ্ছা থাকলেও শরীরচর্চার জন্য বাড়তি সময় মেলে না। ফলস্বরূপ ওজন বাড়তেই থাকে। করোনাভাইরাস মহামারির এই সময়ে জিমে যেতে চাইলেও অনেক ক্ষেত্রে তা সম্ভব হচ্ছে না। তাহলে কি ওজন বাড়তেই দেবেন? আপনি যদি সচেষ্ট হন তবে ঘরে থেকেও ওজন কমানো সম্ভব। বাড়তি ওজন ঝরানোর জন্য সপ্তাহের সাতদিন মেনে চলতে পারেন এই সাত উপায়-
কাঁচা রসুন
কাঁচা রসুনের উপকারিতা সম্পর্কে জানা আছে কি? পরিচিত এই ভেষজকে বলা হয় প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক। রসুন খেলে একইসঙ্গে দূরে থাকা যায় অনেক অসুখ থেকে। আপনি যদি প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে অথবা সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কয়েক কোয়া কাঁচা রসুন চিবিয়ে খান তবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।
লেবুপানি
কাঁচা রসুন চিবিয়ে খাওয়ার পর খেতে হবে লেবুপানি। একটি লেবুর অর্ধেকটা চিপে রস বের করে নিন। এবার একগ্লাস হালকা গরম পানির সঙ্গে লেবুর রস মেশান। তবে লবণ মেশাবেন না। মিষ্টি স্বাদ চাইলে অল্প মধু মিশিয়ে নিন, চিনি মেশানো যাবে না। এই পানীয় বিপাক প্রক্রিয়া উন্নত করে। ফলে কমে তলপেটের মেদ।
সাদা ভাত বাদ দিন
থালাভর্তি ঝরঝরে সাদা ভাত খেতে পছন্দ করেন? যতই পছন্দ করুন না কেন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে এই সাদা ভাত। এর বদলে খান লাল চালের ভাত, গমের আটার রুটি কিংবা ওটসের মতো স্বাস্থ্যকর খাবার।
মরিচের ব্যবহার
ঝাল খাবার খাওয়া যাবে। তবে অতিরিক্ত মশলাদার, তেল-ঝোলে রান্না করা খাবার বাদ দিতে হবে। রান্নায় ঝাল স্বাদ আনার জন্য ব্যবহার করুন কাঁচা মরিচ, গোল মরিচ, আদা, দারুচিনি ইত্যাদি। এসব মশলা স্বাস্থ্যকর। রক্তে ইনসুলিনের সরবরাহ বাড়াতে সাহায্য করে এসব মশলা। সেইসঙ্গে কমায় শর্করার মাত্রা। এর ফলে চর্বি গলে দ্রুত। এসব মশলা ডায়াবেটিস রোগীর জন্যও সমান উপকারী।
মিষ্টি বাদ দিন
এই ডায়েট মেনে চলার সময় চিনি জাতীয় সব রকম খাবার পুরোপুরি বাদ দিতে হবে। এছাড়া মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন নানারকম মিষ্টি, মিষ্টি দই, আইসক্রিম, চকোলেট ইত্যাদি বিদায় দিন এক সপ্তাহের জন্য।
কিছু খাবার বাদ দিন
এই সাত দিন সব রকমের মাছ-মাংস, ডিম, দুধ বাদ দিতে হবে। মাছ চাইলে অল্প খেতে পারেন। তবে অবশ্যই মাছের চামড়া ফেলে খাবেন।
সবজি ও ফল খান
প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে খেতে হবে প্রচুর সবজি ও ফল। এমন সব ফল খেতে হবে যাতে পর্যাপ্ত পানি রয়েছে। এসব ফল ও সবজি খাওয়ার কারণে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হবে। প্রতিদিন খেতে হবে প্রয়োজনীয় পানি। দিনে অন্তত আট-দশ গ্লাস পানি পান করুন। এতে শরীরের বিপাকক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। সেইসঙ্গে দূর হবে শরীরের ভেতরে থাকা বিষাক্ত উপাদান।
এইচএন/এএ