বাবাই আমার সুপারহিরো
আমার বাবার নাম মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। পেশায় তিনি একজন ডাক্তার। আমার বাবা! ছোট বেলায় হেলিকপ্টার দেখা থেকে নববর্ষ। সবখানেই আমার খুশির একমাত্র মাধ্যম বাবা। ঘুম থেকে উঠে বাবাকে না দেখলে অনেক কান্না করতাম। চাকরি সূত্রে বাবার সঙ্গে আমার দেখা হতো প্রায় ৭ দিন পর শুক্রবারে। অন্যদিনগুলোতে তিনি যখন বাসায় আসতেন আমি তখন ঘুমাতাম, আর আমি উঠতে উঠতে বাবা অফিসে চলে যেতো।
বাবা যে কতটা ভালোবাসেন আমাদের তার প্রমাণ যখন শহরের বাইরে থাকি তখন ১০ মিনিট পর পর তার ফোন কল পেলেই বুঝে যাই। আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে শক্ত মানুষ আমার বাবা। তিনি পুরো পৃথিবীর দুঃখ একপাশে নিয়ে আজও আরেকপাশে রেখেছেন আমাদের সুখ।
জীবনের অন্যতম পর্যায়ে যখন সবথেকে বড় ভুল করলাম তখন পুরো সমাজ পৃথিবী আমার বিরুদ্ধে গেলেও বাবা আমাকে বেঁচে থাকার শক্তি জোগালেন। বাবাকে হয়তো নিজের অজান্তেই অনেক কষ্ট দিয়েছি। বাবা মেনেও নিয়েছে হাসিমুখে।
যখন আমি তার থেকে দূরে তখন সন্তানের সংকটে তিনি নিভৃতে চোখের জল ফেলেন। আর সামনে দাঁড়ান বর্মের মতো। করোনাকালেও সন্তানদের জন্য বাবার উৎকণ্ঠা অবিকল। নিজের করোনা পজিটিভ নিয়েও চিন্তা করে গেছেন যেন আমার সন্তান ভালো থাকে। বাবা অসুস্থ যখন চিকিৎসাধীন ভারতের ভেলোরে তবুও তিনি বারবার আমাকে সাহস জুগিয়েছেন যেন আমরা ভয় না পাই। সন্তানের জন্য বাবারা নিজ ভয়কে জয় করেছেন। অথচ বাবাকে কখনো বলা হয়ে ওঠে না, ‘বাবা, আমি তোমায় ভালোবাসি।’
বাবা! আমি আসলেই অনেক অনেক অনেক ভালোবাসি আপনাকে আর সেটা কতটুকু সত্য তার প্রমাণ আজকের লেখাগুলো লেখার সময় আমার চোখের জলধারাই বলে দিচ্ছে। সবশেষে বলবো, পৃথিবীর সবকিছুর বিনিময়ে হলেও হাজার বছর বেচে থাকুক আমার বাবা।