বাবাকে নিয়ে লিখতে গেলে
বাবাকে নিয়ে লিখতে গেলে কোথা থেকে যে শুরু করে কোথায় গিয়ে শেষ করবো, বুঝে উঠতে পারি না। পৃথিবীতে মানুষের শ্রেষ্ঠ আপনজনদের মধ্যে অন্যতম ব্যক্তি হলেন বাবা। আমি মনে করি, তাকে কোনো একটি দিনে স্মরণ করা, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানানো যথেষ্ট নয়; বরং প্রতিটি দিনই যেন আমাদের বাবা দিবস।
পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ মেলে প্রশস্ত বৃক্ষের মতো, প্রশান্তির ছায়াদানকারী বাবার বুকে। শত আবদার আর নির্মল শান্তির এ গন্তব্যটি কারোরই অজানা নয়। দায়িত্বশীল হয়ে বেড়ে উঠতে বাবাকে দেখেই শিখি আমরা। বাবাকে আমরা অকৃত্রিম আন্তরিক ভালোবাসা জানাতে উপহার দিতে পারি। যদিও বাবারা উপহার পেতে নয়, দিতেই ভালোবাসেন।
সব বাবাই শাসনে কঠোর, ভালোবাসায় কোমল, স্নেহে উদার, ত্যাগে অগ্রগামী। সন্তানের মাথার ওপর যার স্নেহচ্ছায়া বটবৃক্ষের মতো, সেই বাবার প্রতি বাবা দিবসে বিশ্বব্যাপী ঘটা করে জানানো হবে বিনম্র শ্রদ্ধা-ভালোবাসা। সন্তান যতই বড় হোক না কেন, বাবার কাছে সে সব সময়ই ছোট। সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে দিতে অসীম সংগ্রাম করে স্নেহপ্রবণ বাবা, শত কষ্টের মধ্যেও সন্তানের জন্য সাধ্যমতো নিজেকে বিলিয়ে দিয়েই যার আনন্দ তিনিই তো আমাদের বাবা।
বাবা! রক্তবন্ধনের টকটকে লাল রংটাকে তুমি নিজে খাঁটি রাখতে চাও বলেই হয়তো আমার সেই কথার প্রতিবাদ করো না। নানা বিষয়ে কত্ত উৎকণ্ঠা আমার জন্য তোমার! বাবা, তোমাকে জড়িয়ে ধরতে বড় ইচ্ছে হয়। একবার ধরতে দেবে? তোমার কাছে আমার যাবতীয় সুখ-দুঃখের কথা বলতে খুবই ইচ্ছে হয়, বাবা!
এমন দিনে শুধু বাবার সঙ্গে ছবি না দিয়ে, সারা জীবন বাবা-মাকে ভালো রাখতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব। কখনোই এমন আচরণ করব না, যার দ্বারা বাবা কষ্ট পান। এবং সবসময়ই পাশে থাকার চেষ্টা করব।