ঘর সাজাতে রং বাছুন আপনার ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী
ঘরের রঙেই ফুটে উঠবে আপনার ব্যক্তিত্ব। আপনার বসার ঘর কিংবা শোয়ার ঘরের দেয়াল আপনি কোন রঙে রাঙিয়েছেন, তাতেই প্রকাশ পাবে আপনি কেমন মানুষ। ঘরের রং হলো অনেকটা মনের আয়না।
একাধিক মনোবিদের মতে, রঙের ওপর শুধু চোখের নান্দনিকতাই নির্ভর করে না, বরং পরিবারের লোকজনদের মন-মানসিকতাকেও প্রভাবিত করে। তাই অন্দরসজ্জায় রং-বাহারি চমকের পাশাপাশি প্রশান্তির দিকটাও খেয়াল রাখা দরকার। যেমন বসার ঘরে এমন কোনো রং ব্যবহার করুন, যাতে আভিজাত্যের পাশাপাশি অতিথিদের অভ্যর্থনার আমেজও প্রতিফলিত হয়। গোলাপি, বেগুনি, সোনালি, গ্রে ইত্যাদি এই তালিকায় পড়তে পারে। ড্রয়িং রুমেই ডাইনিংয়ের ব্যবস্থা থাকলে সবুজ রং ব্যবহার করুন।
লাল রং প্যাশন, ভালোবাসা এবং শক্তির প্রতীক। পোশাক থেকে অন্দরসজ্জা যেখানেই লাল রং ব্যবহৃত হয়, তা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। যারা বহির্মুখী, আশাবাদী, উদ্যমী এবং আত্মবিশ্বাসী, তাদের এই রং পছন্দ। দেওয়ালে লাল রঙের সঙ্গে উডেন কালার বদলে দেবে বাড়ির চেহারা।
শোয়ার ঘরে হালকা নীল, আকাশি রং ব্যবহার করতে পারেন। মনে প্রশান্তি থাকে। বিছানায় থাক সাদা চাদর, আর ভেলভেটের মানানসই কুশান। নীল রং যাদের পছন্দ তারা বিশ্লেষণাত্মক এবং গভীর চিন্তাবিদ হন। নিয়মে থাকাই পছন্দ তাদের। যুক্তিবাদী এবং সত্যবাদী।
হলুদ রং পছন্দকারীরা আড্ডাবাজ হয়। এরা ঘুরতেও ভালোবাসেন। খুব মিশুক এবং অত্যন্ত কল্পনাপ্রবণ হন। সম্পর্কের ক্ষেত্রে তারা অন্যের মতামত প্রাধান্য দেন। ঘরের দেয়ালে হলুদ রং ব্যবহার করলে তার সঙ্গে ভাইব্রেন্ট রঙের ফ্রেম ঝুলিয়ে দিন। অন্দরসজ্জা বাজিমাত করবে।
ঘরের কোনও একটা কোণায় সবুজ রং ব্যবহার করে সেখানে ক্যাবিনেট লাগিয়ে দিন। সেখানে সিরামিক আর্টওয়ার্ক বা বাসনপত্র রাখতে পারেন। পাশেই জানালা থাকলে সাদা নেটের পর্দা ঝুলিয়ে দিন। মনে রাখবেন, সবুজ রং ধৈর্য ও শান্তির প্রতীক। সন্তানদের পড়াশোনা কিংবা কাজের টেবিলের কোণাতেও এই রং ব্যবহার করতে পারেন।
জেডএস