এভাবে ভালোবাসুন, সে কখনো আপনাকে ছেড়ে যাবে না
এটি সবারই বোঝার কথা যে, একটি সম্পর্ক কেবল প্রেমের ওপর নির্ভর করে গড়ে ওঠে না। সেখানে শ্রদ্ধা, বিশ্বাস, সার্বক্ষণিক যোগাযোগ, যত্ন- সবকিছুরই প্রয়োজন পড়ে। এটি বলা সহজ কিন্তু করা কঠিন। কারণ এতসবকিছু সামলে চলা মুখের কথা নয়। হয়তো আপনি হৃদয় দিয়ে কাউকে ভালোবাসেন, কিন্তু পারিপার্শ্বিক অনেক কারণে তা আর আলোর মুখ নাও দেখতে পারে। আবার এমন কারও সঙ্গে আপনার জীবন কাটাতে হতে পারে, যার প্রতি খুব বেশি ভালোবাসা নেই। এক্ষেত্রে অন্যান্য বিষয়ের সমন্বয় করে একটি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হয়।
মানুষের একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো, সহজে পাওয়া কোনোকিছুকে তার মূল্য দিতে চায় না। আপনার জীবনে যে আছে, তাকে হয়তো আপনি নানাভাবে উপেক্ষা করে চলেছেন আর ভাবছেন, সে কোথাও যাবে না। সঙ্গীকে ছাড় দিতে আপনি প্রস্তুত নন, কারণ আপনি নিজের কমফোর্ট জোন থেকে কখনো বের হতে শেখেননি।
ভালোবাসা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এটি আমাদের প্রয়োজন নয়। আপনি যত বড় হবেন, ততই বুঝতে পারবেন যে সম্পর্ককে কার্যকর করার জন্য ভালোবাসা যথেষ্ট নয়। কেউ যদি এমন স্বপ্ন দেখায় তবে সে মিথ্যা বলেছে। যদিও প্রেম নিঃসন্দেহে একটি অপরিহার্য বিষয়, যেকোনো সফল সম্পর্কের উপাদান। তবে তা একা আমাদের সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে পারে না। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য তাই কিছু উপাদান জরুরি। জেনে নিন সেগুলো কী-
যোগাযোগ ধরে রাখা
এই যোগাযোগ কেবল দূরে থাকা জুটির জন্যই নয়, কাছাকাছি থাকাদের জন্যও জরুরি। এর অর্থ হলো একে অপরকে বুঝতে চেষ্টা করা। অনেক সময় পাশে থেকেও কেউ কারও মনের খবর রাখেন না। এতে শরীর পাশাপাশি থাকলেও বাড়ে মনের দূরত্ব। তাই মন দিয়ে সঙ্গীর কথা শোনা, তার অনুভূতি ও প্রয়োজনগুলো বুঝতে চেষ্টা করার অভ্যাস করতে হবে। এভাবে থাকতে জানলে সেই সম্পর্ক সহজে ভেঙে যাওয়ার ভয় নেই।
আস্থা রাখা
বিশ্বাস এবং আস্থা থাকা জরুরি, তা যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রেই হোক না কেন। আপনি যতটা বিশ্বাসযোগ্য হবেন, সঙ্গী আপনার ওপর ততটাই আস্থা রাখতে শিখবে। এটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তৈরি হয় বলে সম্পর্কের ভিতও মজবুত হয়। সহজে ভেঙে পড়ে না। তাই আস্থার জায়গা তৈরি করুন এবং আপনিও আস্থা রাখতে শিখুন।
আপস করতে জানা
সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য আপস করতে জানা এবং নমনীয় হওয়া প্রয়োজন। এর মানে হলো আপনি তার সঙ্গে মানিয়ে চলতে ইচ্ছুক। কোনোকিছুতে বাড়াবাড়ি না করে মধ্যম পন্থা বেছে নিতে হবে। কোনো সমস্যা হলে তার সমাধানে দু’জনকেই কাজ করতে হবে। সমস্যা এড়িয়ে চললেই বরং তা আরও বেড়ে যাবে।
ভাগাভাগি করে নেওয়া
সম্পর্ক মানে সবকিছু ভাগাভাগি করে নিতে জানা। দু’জনের স্বপ্নের কথা, আগ্রহের কথা, পছন্দ-অপছন্দ সবকিছুই ভাগাভাগি করে নিতে জানতে হবে। এভাবে একে অন্যের সঙ্গে জড়িয়ে গেলে কেউ সেখান থেকে হুট করে বেরিয়ে আসতে পারে না। পারস্পারিক নির্ভরশীলতাই দু’জনকে একই বন্ধনে বেঁধে রাখে।
সীমা অতিক্রম না করা
একটি সুন্দর সম্পর্কে দু’জনের মধ্যে সীমানা নির্ধারণ করতে জানা এবং সম্মান করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একে অপরের গোপনীয়তা, এবং নিজস্বতাকে সম্মান করা প্রয়োজন। তার বিষয়ে আপনি কতটুকু বলতে পারবেন, কতটুকু পারবেন না তা জানা থাকা জরুরি।