ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছেন? এই গরমে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখবেন
বাইরে তীব্র রোদ, ঘরেও গরমে তেষ্ঠানো দায়। এদিকে চলছে পবিত্র রমজান মাস। রোজাদার মুসলমানদের জন্য আরেকটি কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়াতে যাচ্ছে এই গরমে বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা। ঈদের ছুটি শুরু হতে যাচ্ছে। আবেগ ও আনন্দের ঈদ কি আর দূরের শহরে কাটানো যায়? যেতে হবে তাই বাড়িতে। এদিকে প্রচণ্ড গরমের কারণে যাত্রাপথে কিছু ভোগান্তি হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
প্রতি বছর নানা সমস্যা পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। কারণ ঈদযাত্রায় ঘরমুখী মানুষের ঢল নামে রাস্তায়। ফলস্বরূপ তীব্র যানজট তৈরি হতে পারে। এমন অবস্থায় দিশেহারা বোধ করা স্বাভাবিক। গরমে ভ্রমণের আগে তাই বাড়তি সচেতনতা জরুরি। সেইসঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে ব্যাগ গোছানোর সময়েও। যেন গরমের তীব্রতা উপেক্ষা করে আনন্দময় ঈদ কাটিয়ে আসতে পারেন। জেনে নিন গরমে ভ্রমণের সময় কী করবেন-
আবহাওয়ার খোঁজ
যেদিন যাত্রা করছেন সেদিনের আবহাওয়ার খোঁজ তো রাখবেনই, সেইসঙ্গে ছুটির দিনগুলো যে এলাকায় থাকবেন, সেসময় সেখানকার আবহাওয়া কেমন থাকবে তার অগ্রিম খবর নিন। যদি গরম কিছুটা কমার সম্ভাবনা থাকে তবে তেমন কোনো চিন্তার কারণ নেই। আর যদি তা না হয়, তবে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজাতে হবে।
আরামদায়ক পোশাক
ভ্রমণের সময় আরামদায়ক পোশাক পরুন। এই গরমে সুতির পোশাক হতে পারে সবচেয়ে আরামদায়ক। ভুলেও সিনথেটিকের কোনো পোশাক পরতে যাবেন না। এতে পুরো পথ অস্বস্তিতে ভুগবেন। এসময় হালকা রঙের পোশাক পরুন। এতে গরম কম অনুভূত হবে। সেইসঙ্গে ঈদের সময়টাতেও এ ধরনের পোশাকই বেছে নিন। এতে বেশি আরাম পাবেন।
সানগ্লাস নেবেন না?
সানগ্লাস তো আপনাকে নিতেই হবে। তবে অবশ্যই নন ব্র্যান্ডেড কোনো সানগ্লাস কিনবেন না। এতে চোখের ক্ষতি হয়। তাই দাম একটু বেশি হলেও ব্র্যান্ডেড সানগ্লাস কিনুন। এতে আপনার চোখ রোদের তীব্রতা থেকে রক্ষা পাবে। সঙ্গে রোদ থেকে বাঁচার জন্য ছাতা, ক্যাপ ও সানস্ক্রিন রাখতে ভুলবেন না।
ফার্স্ট এইড
ভাবছেন, ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাবো তাতে আবার ফাস্ট এইড বক্স টানাটানি কেন? কথায় আছে, সাবধানের মার নেই। তাই সতর্কতা হিসেবে এ ধরনের একটি বক্স সঙ্গে রাখুন। প্রয়োজনীয় ও জরুরি ওষুধ-পত্র রাখুন তাতে। কারণ হাতের কাছে সব সময় সব ওষুধ নাও থাকতে পারে। ফাস্ট এইড বক্স সঙ্গে রাখলে প্রয়োজনে কাজে দেবে।
যাত্রার আগে ভারী খাবার নয়
একে তো গরম, তার ওপর রোজা। তাই যাত্রার আগে সাহরি বা ইফতারে ভারী খাবার একদমই খাবেন না। এর বদলে হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। সঙ্গে বিশুদ্ধ পানির বোতল রাখুন। যেকোনো সময় প্রয়োজন হতে পারে। পথেই যদি ইফতার বা সাহরি খেতে হয় তবে সেই ব্যবস্থা করেই বের হোন। কারণ পথের খাবার অস্বাস্থ্যকর হওয়ার ভয় বেশি থাকে।
রাতে ভ্রমণ
যদি সম্ভব হয় তবে রাতের বেলা ভ্রমণের চেষ্টা করুন। এসময় গরমের তীব্রতা কম থাকে। আপনার হ্যান্ডব্যাগে গামছা বা তোয়ালে রাখুন। গরমের কারণে বেশি ঘামলে এটি কাজে লাগবে। পা ঘেমে যাওয়ার সমস্যা থাকলে সুতির মোজা পরে বের হতে পারেন।
ঈদে ঘরমুখী মানুষের চাপে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। মনে রাখবেন, অন্যরা আপনার মতোই একবুক আবেগ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। তাই সবাই সবার প্রতি সহানুভূতিশীল হোন। কেবল নিজের দিকে নয়, যাত্রাপথে অন্যদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে কি না, সেদিকেও খেয়াল রাখুন। সবার ঈদ যাত্রা সুন্দর হয়ে উঠুক।