ঈদের কেনাকাটায় যেসব বিষয় মনে রাখা জরুরি
ঈদুল ফিতর মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য বছরের সবচেয়ে বড় উৎসব। সারা বছর সবাই এই বিশেষ দিনের জন্য অপেক্ষা করেন। এই দিনকে ঘিরে থাকে নানা পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনার বড় একটি অংশ ঈদের কেনাকাটা করা। নিজের এবং প্রিয়জনের জন্য পছন্দের পোশাকটি কিনতে গিয়ে যেন সবচেয়ে সুন্দরটিই নির্বাচন করতে পারেন, সেজন্য ঈদের কেনাকাটা করার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক, ঈদের কেনাকাটায় কোন বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে-
সঠিক পরিকল্পনা
কেনাকাটা করার আগে ঠিকভাবে তালিকা তৈরি করে নিতে হবে। আপনি কী কিনতে চান, কোটি আপনার বেশি প্রয়োজন, কোনটি কম প্রয়োজন, সেই গুরুত্ব অনুযায়ী তালিকা সাজাতে হবে। তাহলে কেনাকাটা করতে সুবিধা হবে। অনেক সময় দেখা যায় তাড়াহুড়োয় অপ্রয়োজনীয় জিনিসও কেনা হয়ে যায়। এভাবে তালিকা সাজিয়ে নিলে আর সেই ভয় থাকবে না।
বাজেট নির্ধারণ
কেনাকাটার জন্য আপনি কত বাজেট রাখবেন, সেটি আগে থেকেই নির্ধারণ করতে হবে। নয়তো পরে দেখা যাবে, অনেক অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা হয়ে গেছে কিন্তু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য আর টাকা নেই। তখন সমস্যায় পড়তে হবে। তাই আপনার সামর্থ্য বুঝে খরচ করুন। সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে বাজেট করবেন না।
অর্থের অপচয় না করা
ঈদে সবাই অনেক কেনাকাটা করে, এটা ঠিক। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে, অর্থের খুব বেশি অপচয় যেন না হয়। অপচয় না করার জন্য ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে। কেনাকাটার ক্ষেত্রেও আপনাকে সংযম ধরে রাখতে হবে।
কেনাকাটার জায়গা নির্ধারণ
সবার সব জায়গা থেকে কেনাকাটা করার সামর্থ্য থাকে না। তাছাড়া প্রয়োজনীয় সব জিনিসও সব জায়গায় পাওয়া যায় না। তাই আপনার সামর্থ্য এবং প্রয়োজন অনুযায়ী কোন মার্কেট থেকে কী কিনবেন, তা আগেই ঠিক করে রাখবেন। এতে আপনার সময় বাঁচবে অনেকটাই। আপনাকেও রোজা রেখে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে হবে না।
আরামদায়ক পোশাক কেনা
ঈদ উপলক্ষ্যে কেনা হলেও সেই পোশাক আমরা সারা বছরই কমবেশি পরিধান করে থাকি। তাই পোশাকটা যেন আরামদায়ক হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অনেক টাকা দিয়ে ভারী জামা কিনে রেখে দিলে সেই পোশাক পরবর্তীতে আলমারিতেই থেকে যাবে। তাই এমন পোশাক কিনুন, যা আরামদায়ক এবং সব সময় ব্যবহারের উপযোগী।
যাচাই করে কেনা
যেকোনো জিনিস কেনার সময় যাচাই-বাছাই করে কিনতে হবে এবং ক্রয়ের রশিদ সংগ্রহ করতে হবে। যাতে ঠিকঠাক জিনিস ক্রয় করা যায় কিংবা প্রয়োজনে বদলানো যায়। এই সুযোগ থাকলে আপনার পোশাক কিনে ঠকে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আত্মীয় ও দরিদ্রদের জন্য কেনাকাটা
বাজেটের একটা অংশ রাখতে হবে নিকট আত্মীয় ও দরিদ্রদের জন্য। উপহার আদান প্রদানে সম্পর্ক আরো সুন্দর হয়ে ওঠে। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী আত্মীয় ও দরিদ্রদের জন্য কেনাকাটা করুন। তাদের খুশি দেখে আপনার মনও ভালো থাকবে।
সতর্কতা অবলম্বন
ঈদের সময়ে মার্কেটে খুব ভিড় থাকে। এসময় পকেটমার, ছিনতাইকারীর দৌরাত্ম্য বেড়ে যায় আরো। তাই অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যেন টাকাপয়সা, মোবাইল বা কোনো প্রয়োজনীয় জিনিস হারিয়ে না যায়।
ঘরে ঘরে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক। ঈদ সার্বজনীন উৎসব হয়ে উঠুক। ঈদের কেনাকাটা হোক সবার স্বাচ্ছন্দ্যে।