রাতে খেলেই অস্বস্তি? নৈশভোজে যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন
শরীরের যত্ন নিতে স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার জুড়ি মেলা ভার। খাবারে থাকা নানারকম পুষ্টিকর উপাদান শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম করতে বারণ করেন চিকিৎসকরা। কী খাচ্ছেন সেটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই কখন খাচ্ছেন সেটা আরও বেশি জরুরি। দিনের যেকোনো সময় ইচ্ছেমতো সব খাবার খাওয়া ঠিক নয়। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলি রাতে এড়িয়ে চলাই ভালো।
দই
রাতে দই খেলে অনেকেরই হজমের সমস্যা হয়। বিশেষ করে যাদের সর্দি-কাশির সমস্যা আছে, তাদের রাতে টক দই না খাওয়াই ভাল। এমনিতেই চিকিৎসকরা বলেন, সূর্য ডোবার পর দই খেলে শরীরে ভেতরে মিউকাস জমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই সর্দি-কাশির প্রকোপ বাড়ে। একান্তই যদি দই খেতে হয়, তা হলে ঘোল খেতে পারেন।
রাতে অনেক বাড়িতেই রুটি হয়। কারও বাড়িতে আটার রুটি হয়, কেউ আবার ময়দার রুটি খেতে পছন্দ করেন। তবে আটা-ময়দার তৈরি যে কোনো খাবার হজম করতে বেশ সময় লাগে। যাদের অনেক রাত করে খাওয়ার অভ্যাস, তাদের আটা-ময়দার তৈরি খাবার রাতে না খাওয়াই ভালো। এতে হজমের সমস্যা হয়। স্থূলতারও ঝুঁকি থাকে।
সালাদ
অনেকেই ডায়েটের কারণে রাতে স্যালাড খান। তবে রাতে কাঁচা শাক-সবজির সালাদ না খাওয়াই ভাল। শাক-সবজিতে ভরপুর মাত্রায় ফাইবার থাকে। রাতে ফাইবার হজম করতে অনেকেরই বেশ সমস্যা হয়। দুপুরে বা সকালে কাঁচা সালাদ খান, তবে রাতে অল্প অলিভ অয়েলে নাড়াচাড়া করে খান।
কফি
দুই খাবারেই অনেক বেশি মাত্রায় ক্যাফিন থাকে। রাতে চকোলেট, কফি জাতীয় জিনিস খেলে ক্যাফিনের কারণে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। অনেকের রাত জেগে কাজ করার অভ্যাস। ঘুম কাটাতে কাপের পর কাপ কফি খেয়ে যান তাঁরা। এই অভ্যাস কিন্তু অনিদ্রার সমস্যা ডেকে আনতে পারে।
কেএ