সুস্থ থাকতে চাইলে খেতে হবে যে ৫ সুপারফুড
সুস্থ থাকার জন্য আমাদের বাদ দিতে হবে কিছু ক্ষতিকর অভ্যাস। সেইসঙ্গে রপ্ত করতে হবে এমন কিছু অভ্যাস, যেগুলো আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। নিয়ম মেনে ঘুমানো, শরীরচর্চা, চাপমুক্ত থাকা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এসব অভ্যাসের মধ্যে অন্যতম। বাদ দিতে হবে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া, মসলাদার খাবার। অতিরিক্ত মিষ্টি কিংবা লবণও এড়িয়ে চলতে হবে। সেইসঙ্গে খেতে হবে কিছু সুপারফুড। তাহলেই সুস্থ থাকা সহজ হবে।
সুপারফুড কী?
বিশেষজ্ঞরা বলেন, সুপারফুড বলা হয় এমন খাবারকে যা অনেক বেশি পুষ্টিকর। সেসব খাবারে ক্যালোরি কম থাকে এবং পুষ্টি উপাদান থাকে বেশি। তাতে প্রচুর খনিজ, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এসব খাবার আপনার শরীরে প্রয়োজন মেটাবে। হার্টের সমস্যা, ক্যান্সার, আর্থারাইটিস, স্ট্রোকের মতো অসুখকে দূরে রাখবে এবং বাড়াবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন পেতে চাইলে খেতে হবে এই ৫ খাবার-
ব্লুবেরি
এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। এই খাবারে রয়েছে ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন কে বা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ব্লুবেরি খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তচাপ। সেইসঙ্গে হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ও কমে অনেকটাই। তাই নিয়মিত খাবারের তালিকায় যোগ করতে পারেন এই ফল।
পাতাযুক্ত শাক-সবজি
এ ধরনের শাক-সবজি খেলে তা নানাভাবে আমাদের শরীরের উপকার করে। সবুজ শাক-সবজি ভিটামিন এ, সি, ই এবং কে-এর ভালো উৎস। পাতাযুক্ত শাক-সবজিতে থাকে ক্যারোটিনয়েডস, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম। ফলে শরীরে প্রয়োজনীয় অনেক পুষ্টির জোগান মেলে সহজেই।
স্যামন মাছ
নানা ধরনের পুষ্টিগুণে ভরপর হলো স্যামন মাছ। এই মাছে আছে ইপিএ এবং ডিএইচএ সম্পন্ন ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হলো ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় এই অ্যাসিডযুক্ত খাবার রাখা জরুরি।
বাদাম
মুঠো ভরা বাদাম মানেই নানা ধরনের পুষ্টি। আপনার সুস্থ থাকায় ভূমিকা রাখতে পারে বাদাম। এটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ধরনের উপকারিতা বয়ে আনে। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় একমুঠো কাঁচা বাদাম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর সকালে উঠে সেই ভেজানো বাদাম খেয়ে নিন। এতে অনেক উপকার পাবেন।
বীজ
নাস্তা হিসেবে খেতে পারেন সূর্যমুখী বীজ, কুমড়ো বীজ, চিয়া বীজ ইত্যাদি। এ ধরনের বীজ আমাদের কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমিয়ে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে নিয়ন্ত্রণে রাখে উচ্চ রক্তচাপ। কমায় খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রাও কমায়।