প্রাক্তন প্রেমিকার বিয়ের দাওয়াত পেলে কী করবেন?
যদিও নেতিবাচক চিন্তা মনে আনতে নেই, তবু প্রেম আছে মানেই যে চিরকাল থাকবে এমনটাও নয়। অনেক ঝড় আসতে পারে, এলোমেলো হতে পারে জীবনের অনেককিছুই। তাই আজ যার হাত ধরে আছেন, কাল সেই হাত নাও থাকতে পারে হাতে। মন-প্রাণ দিয়ে যাকে ভালোবাসলেন, একটা সময় তার গায়েই লাগতে পারে প্রাক্তনের তকমা!
যে নারী আপনার প্রাক্তন হয়ে গেছেন, তার জীবন নিশ্চয়ই থেমে থাকবে না? সময়ের নিয়মে নানাকিছু ঘটবে। একদিন সব ভুলে আবারও নতুন করে সাজাতে চাইবেন জীবন। বিয়ের মতো আজীবনের বন্ধনে আবদ্ধ হতে চাইবেন। এগুলোই কি স্বাভাবিক নয়? তখন তার বিয়েতে আপনাকে যদি দাওয়াত দেয়, কী করবেন? এক সময়ের ভালোবাসার মানুষটি কি কেবল বিচ্ছেদের অপরাধে সারা জীবন আপনার কাছে অপরাধী হয়ে থাকবেন নাকি সব ভুলে তাকে একজন বন্ধু হিসেবে জীবনে জায়গা দেবেন?
অতীতকে পেছনে ফেলে আসুন
প্রাক্তন প্রেমিকা আপনাকে বিয়ের দাওয়াত জানিয়েছেন মানে হলো তিনি সবকিছু সামলে নিতে পেরেছেন। তার মনে যদি এখনও ক্ষোভ জমা থাকতো তাহলে এই উদারতা দেখানো সম্ভব হতো না। তাই আপনিও মন খারাপ করা স্মৃতিগুলো মনে রাখবেন না। পুরো বিষয়টি জীবন থেকে মুছে ফেলুন। তার নতুন শুরুতে চাইলে উপস্থিত হতে পারেন।
বন্ধুদের সঙ্গে যেতে পারেন
যেহেতু একটা সময় প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাই দু’জনের কিছু কমন বন্ধু থাকা অস্বাভাবিক নয়। তাদেরও নিশ্চয়ই দাওয়াত দেবে বিয়েতে। তারা গেলে আপনিও তাদের সঙ্গে যেতে পারেন। বিয়েতে উপস্থিত থাকুন বন্ধুদের সঙ্গেই। পুরোনো কোনো কথা তুলতে দেবেন না। সব সহজভাবে নিন।
খুব বেশি কথা নয়
বিয়ের দিন বিয়ের কনে অনেকটা ব্যস্ত থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। তার সামনে অন্য দশজন অতিথির মতোই থাকুন। তার সঙ্গে খুব বেশি কথা না বলাই ভালো। কারণ যত বেশি কথা বলবেন ততই পুরোনো স্মৃতি ভেসে উঠবে। বাস্তবতাকে মেনে নিন। এখন আর মন খারাপ করেও কিছু হবে না। আপনি সেখানে অতিথি, অতিথির মতোই আচরণ করুন।
শুভেচ্ছাটুকু থাকুক
অন্যকে শুভেচ্ছা জানালে আপনার মনও প্রফুল্ল থাকবে। তাই তার নতুন জীবনের জন্য শুভকামনা জানান। তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলে শুভেচ্ছা জানাতে পারেন। যেন তিনি তার পরবর্তী জীবনে সুখী থাকেন, সেই কামনা করুন। এতে আপনিও ভালো থাকতে পারবেন। অভিমান করে আবার বিয়েবাড়ির খাবার না খেয়েই চলে আসবেন না! মনে রাখবেন, আপনি সেখানে অন্য সব সাধারণ অতিথির মতোই একজন।
মনের কথা শুনুন
আপনার মন যদি সেখানে যেতে নিষেধ করে তবে অবশ্যই সেকথা শুনবেন। কারণ সবার মনের জোর একইরকম নয়। আপনার মনে যদি এখনও পুরোনো কষ্টেরা ঘোরাফেরা করে তবে সেখানে উপস্থিত না হওয়াই ভালো। মনের ওপর জোর করতে যাবেন না। এতে ভালোর বদলে মন্দটাই বেশি হবে।