ঘুমাতে যাওয়ার সময় মোবাইল ফোন যেভাবে রাখবেন
সারাদিনের সঙ্গী ফোনটি ঘুমাতে যাওয়ার সময়ও কাছছাড়া করেন না বেশিরভাগ মানুষ। হয়তো ফোনে স্ক্রল করতে করতেই ঘুময়ে যান। কেউ আবার অল্প শব্দে গান শুনতে শুনতে ঘুমান। কেউ হয়তো অ্যালার্ম দিয়ে বালিশের পাশে বা বালিশের নিচে রেখে ঘুমান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুমাতে যাওয়ার সময় মোবাইল ফোন এভাবে কাছাকাছি রাখার কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘুমানোর সময় ফোনটি কীভাবে রাখবেন-
দূরে রাখুন
ঘুমাতে যাওয়ার সময় ফোনটি সঙ্গে রাখবেন না। বরং ফোন রাখার জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা রাখুন। সেখানে ফোন এবং এ জাতীয় অন্যান্য জিনিস যেমন হেডফোন, চার্জার ইত্যাদি রাখতে পারেন। আপনি যদি ফোন সঙ্গে নিয়েই ঘুমাতে যান তাহলে ঘুম বাদ দিয়ে ফোনে স্ক্রল করতে মন চাইবে।
বালিশের নিচে নয়
বালিশের নিচে ফোন রেখে ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস থাকে অনেকেরই। সেই ফোনে হঠাৎ কোনো কল বা মেসেজ এলে কাঁচা ঘুম ভেঙে যায়। তাই মোবাইল ফোন বালিশের নিচে বা পাশে নিয়ে ঘুমাবেন না। দূরে রেখে তবেই ঘুমাতে যান।
নেট বন্ধ রাখুন
ফোনে ডাটা অন রেখে ঘুমাতে যাবেন না। অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্রাউজ করতে করতে ঘুমিয়ে যান। কেউ আবার খেলেন গেম। ঘুমের আগে এ ধরনের অভ্যাস অত্যন্ত ক্ষতিকর। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের অভ্যাস ঘুমকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বাড়ে মানসিক চাপ। তাই সচেতন হোন।
গান শুনতে শুনতে ঘুম নয়
গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস? যতই ভালোলাগুক না কেন, এই অভ্যাস বাদ দিন। কারণ এ ধরনের অভ্যাস মস্তিষ্কের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। ফোনের সঙ্গে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে যাওয়ার অভ্যাস আরও বেশি ক্ষতিকর।
স্ক্রিনের আলো চোখের ক্ষতি করে
রাতে অন্ধকার কিংবা আবছা আলোতে শুয়ে শুয়ে ফোন ব্যবহার করার অভ্যাস অনেকের। অল্প আলোতে ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকানোর অভ্যাস রেটিনার জন্য খুবই ক্ষতিকর। নীলচে এই আলো তন্দ্রার জন্য প্রয়োজনীয় হরমোনকে নিঃসরণ হতে বাধা দেয়। তাই ঘুমের সময় ফোন দূরে রাখুন।
ঘুমকে বাধাগ্রস্ত করে
রাতের সময়টা ঘুম ও বিশ্রামের। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে তার প্রভাব পড়ে পররে দিনের সমস্ত কাজে। মেজাজ হয়ে থাকে খিটখিটে। এদিকে আপনি যে ঘুমের সময় ফোন ব্যবহার করছেন তা কিন্তু আপনার স্নায়ুকে উত্তেজিত রাখে। আমরা অজান্তেই ফোনকল, মেসেজ বা কোনো নোটিফিকেশনের জন্য অপেক্ষা করে থাকি। ফলে নির্বিঘ্ন ঘুম সম্ভব হয় না।