যেসব খাবার মুখের দুর্গন্ধের কারণ
মুখের দুর্গন্ধ নিঃশ্বাসের সঙ্গে একাকার হয়ে থাকে। স্বাভাবিকভাবে যার মুখে দুর্গন্ধ থাকে তাকে সবাই এড়িয়ে চলে। শুধু রসুন-পেঁয়াজের কারণেই যে মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয় সেটি ঠিক নয়। রসুন ও পেঁয়াজ ছাড়াও আরও অনেক খাবারের কারণে মুখে দুর্গন্ধ তৈরি হয়।
মাংস
আমিষসমৃদ্ধ খাবার হিসেবে পরিচিত মাংস খাওয়ার কারণে মুখে দুর্গন্ধ তৈরি হয়। কারণ মাংস খাওয়ার পর আমিষ ভেঙে এতে থাকা অ্যামোনিয়া অ্যাসিড মুখে দুর্গন্ধ ছড়ায়। যাদের অতিরিক্ত মাংস খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তাদের মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া টনসিলের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হলে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে যায়। ফলে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়।
টক জাতীয় ফল
ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ হলেও টক জাতীয় ফল অ্যাসিডযুক্ত খাবার। এই অ্যাসিডযুক্ত খাবার খেলে শরীরে অতিমাত্রায় ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে। সে কারণে মুখে সবচেয়ে বেশি দুর্গন্ধ ছড়ায়। আমলকি, কামরাঙাসহ অন্যান্য টক জাতীয় ফলের কারণে মুখের দুর্গন্ধ ছড়ায়।
মাছ
আমিষ জাতীয় খাবার হিসেবে পরিচিত হলেও অনেকেই জানেন না মাছে ট্রিমেথাইল অ্যামিনো কম্পাউন্ড রয়েছে। এটি মুখের সঙ্গে মিশে বাজে একটি গন্ধ তৈরি করে। মুখের এই আঁশটে গন্ধের জন্যও নাইট্রোজেন দায়ী। বেশিরভাগ মাছে নাইট্রোজেন থাকার কারণে মুখে মারাত্মক দুর্গন্ধ ছড়ায়।
দুধ জাতীয় খাবার
দুধ সুষম খাবার। দুধে খাবারের সব ধরনের উপাদান রয়েছে। এটি হাইড্রোজেন সালফাইড তৈরি করে যা মুখের দুর্গন্ধ ছড়াতে সাহায্য করে। বিশেষ করে কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার না খেয়ে অতিরিক্ত প্রোটিন খাবার খেলে মুখের দুর্গন্ধ অনেকক্ষণ পর্যন্ত থাকে। টক দুধ খেলে এ সমস্যা দেখা দেয় এবং দাঁত ব্রাশ করার পরেও গন্ধ থাকে।
কফি
কাজের মধ্যে কফি খাওয়ার অভ্যাস আমাদের অনেকের রয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষের এ কথা জানা নেই যে কফি ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে এবং সালিভার কমিয়ে দিয়ে মুখের দুর্গন্ধ বাড়িয়ে দেয়। তাই অতিরিক্ত কফি খাওয়া উচিত নয়।
মুখের দুর্গন্ধ থেকে বাঁচার উপায়
দিনে অন্তত দুইবার ভালো মানের টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। দাঁতের ফাঁকে অনেক জীবাণু লুকিয়ে থাকে যা ফ্লসিং ছাড়া পরিষ্কার করা অসম্ভব। তাই অন্তত দিনে একবার ফ্লসিং করা উচিত। এছাড়া মুখগহ্বর সুস্থ রাখার জন্য জিহ্বাও নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
এইচএকে/এইচএন/এএ