বাবা-ছেলের বন্ধুত্ব
বাবা ও ছেলের সম্পর্কের প্রসঙ্গ এলে একটি জটিল বিষয় আমাদের সামনে এসে উপস্থিত হয়, সেটি হলো দুজনের চিন্তা ও মতের পার্থক্য। বয়সে প্রবীণ হওয়ার কারণে বাবা অনেক সময়ে যেমন চান, বয়সে কনিষ্ঠ হওয়ার জন্য ছেলে অনেক সময় সেটি উপলব্ধি করতে পারেন না। অনেক পরিবারে বাবা ও ছেলের মধ্যে বাগবিতণ্ডাও চলে। মাঝেমধ্যে বাবা ও ছেলে একে অন্যকে প্রতিযোগীও ভাবতে থাকেন। বাবা ও ছেলে সম্পর্ককে উন্নত করে তুলতে এই কাজগুলো করা জরুরি-
সময় কাটান একসঙ্গে
ছেলেকে সময় দেয়া যেমন বাবার কর্তব্য, তেমনই বাবাকে সময় দেয়াও ছেলের কর্তব্য। পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে বাবাকে সময় দেয়া যেতে পারে। কাজের ফাঁকে বাবার সঙ্গে কথা বলা যেতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাবার সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন ছেলে। খেলাধুলার মাধ্যমেও বাবাকে সময় দেয়া যায়।
পছন্দ-অপছন্দের কথা জানান
বাবা ও ছেলের মধ্যে পছন্দ-অপছন্দের ব্যাপারে জানাশোনা থাকা উচিত। উভয়ের মধ্যে ছাড় দেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। নিজের পছন্দ বা অপছন্দকে অন্যের ওপর চাপিয়ে দেয়া যুক্তিসঙ্গত নয়। মতপার্থক্য থাকলে সে বিষয়ে কথা এড়িয়ে যাওয়া মঙ্গল। একসঙ্গে গান শোনা, খেলাধুলা করা, বইয়ের পাঠপ্রতিক্রিয়া জানানো যেতে পারে।
করুন বিশেষ কাজ
বাবা-ছেলে সম্পর্কের উন্নয়নের ক্ষেত্রে একসঙ্গে সব কাজ করা যেতে পারে। বিভিন্ন ঘরোয়া কাজ কিংবা আত্মীয়-স্বজনের বাসায় একসঙ্গে যাওয়া হতে পারে বাবা-ছেলে সম্পর্ককে উন্নত করার প্রয়াস। এছাড়া ঘরোয়াভাবে যেকোনো পরামর্শ নেওয়ার মাধ্যমেও বাবা-ছেলের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত হয়ে ওঠে।
কথা শুনুন
বাবা কথা বললে ছেলে মনোযোগ দিয়ে শুনবেন, ছেলে কথা বললে বাবাও মনোযোগ দিয়ে শুনবেন। পরস্পর কথাবার্তা চলাকালীন মনোযোগ দিয়ে শোনার মধ্য দিয়ে সম্পর্ক উন্নত হয়। ছেলের চাহিদার প্রতি যেমন বাবাকে মনোযোগী হতে হবে, তেমনই বাবার উপদেশও পালন করতে হবে ছেলেকে।
শেখান সবকিছু
কীভাবে টাকা জমানো যায়, কীভাবে বাজেট করা যায়, কীভাবে বিনিয়োগ করা যায় সে বিষয়ে ছেলেকে শেখানো যেতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেমন লেখা প্রকাশ করা উচিত সে বিষয়েও ছেলেকে শিখিয়ে রাখা বাবার কর্তব্য। বিশেষ করে ডিজিটাল এটিকেট সম্পর্কে ধারণা দিয়ে রাখা দরকার। এছাড়া বাবা-ছেলের সম্পর্কে বন্ধুত্বের ছোঁয়া থাকা দরকার।
ভেরিওয়েল ফ্যামিলি ডট কম অবলম্বনে।
এইচএকে/এইচএন/এএ