যে ৫ অভ্যাসের কারণে চুল পড়ে
চুল পড়া গুরুতর কোনো সমস্যা নয়। কারণ চুল পড়বে এবং নতুন চুল গজাবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই চুল পড়ার পরিমাণ হতে হবে স্বাভাবিক। হঠাৎ যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চুল পড়তে শুরু করে তবে সতর্ক হতে হবে। চুল পড়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ দায়ী হতে পারে। এর মধ্যে একটি হলো আমাদের অভ্যাস। আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাপনে এমনকিছু অভ্যাস রয়েছে, যার কারণে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে-
সঠিক শ্যাম্পু নির্বাচন না করা
চুল পরিষ্কারের ক্ষেত্রে আপনি কোন ধরনের শ্যাম্পুকে প্রাধান্য দেন? না-কি কোনোরকম বাছ-বিচার ছাড়াই চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন? এমনটা কিন্তু করে থাকেন অনেকেই। যদি চান চুল পড়া বন্ধ হোক, তবে এই অভ্যাস বাদ দিতে হবে। অনেক সময় ভুল শ্যাম্পু ব্যবহারের কারণে মাথার ত্বকের স্বাভাবিক তৈলাক্তভাব নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে চুলের গোড়া শুষ্ক হয়ে পড়ে এবং চুল পড়ার পরিমাণও বাড়তে থাকে। তাই চুলের ধরন বুঝে শ্যাম্পু নির্বাচন করতে হবে।
চুল দীর্ঘ সময় ভেজা রাখা
অনেকেরই অভ্যাস থাকে গোসল শেষে চুল দীর্ঘ সময় ভেজা রাখা। ভেজা অবস্থায় চুল অনেক বেশি নরম থাকে। এই অবস্থায় চুল আঁচড়ালে তা সহজেই ভেঙে যায়। তাই গোসলের পরপরই চুল আঁচড়ানো, চুল ঝাড়া বা ঘষে ঘষে মোছা ইত্যাদি বন্ধ করতে হবে। তাহলে দেখবেন চুল পড়ার পরিমাণ অনেকটাই কমে গেছে।
ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি
শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন বি ১২। এই ভিটামিন নতুন হেয়ার সেল তৈরিতে সাহায্য করে। শরীরে ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি দেখা দিলে চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায়। তাই শরীরে এর ঘাটতি তৈরি হতে দেয়া যাবে না। ভিটামিন বি ১২ বেশি পাওয়া যায় প্রাণিজ প্রোটিন থেকে।
শরীরে আয়রনের অভাব হলে
আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য প্রয়োজন পড়ে আয়রনের। আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলে চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে। তাই প্রতিদিন আয়রন সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। খাবারের তালিকায় রাখুন ডুমুর, মোচা, থোঁড়, এঁচড়, পালং শাক, সবুজ শাক সবজি, কলা ইত্যাদি। পাশাপাশি খেতে পারেন আমন্ডও।
চুল অপরিষ্কার রাখা
চুল পড়ার জন্য দায়ী আরেকটি অভ্যাস হলো নিয়মিত চুল পরিষ্কার না করা। প্রতিদিন ধুলোবালি লেগে চুল অপরিষ্কার হয়ে যেতে পারে। আপনি যদি যত্ন করে তা পরিষ্কার না করেন তবে চুল পড়া বাড়বেই। চুল সুস্থ ও সুন্দর রাখতে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।