চাকরি না থাকার চাপ সামলাবেন যেভাবে
নিজে থেকে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কারণে হোক বা প্রতিষ্ঠান আপনাকে বাদ দেওয়ার কারণে, বেকারত্ব বড় ধরনের মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশেষ করে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এই সমস্যা অনেক গুণ বেড়ে গেছে। বেকারত্বের কারণে অনেক ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। তখন নানা পরিস্থিতির কারণে বাস্তবতার কঠিন রূপও দেখতে পাওয়া যায়। চাকরি না থাকলে মানসিক চাপের সঙ্গে যুদ্ধ করে সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। জেনে নিন এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায়-
একটি তালিকা তৈরি করুন
চাকরি না থাকলে বেশিরভাগ মানুষই অনেকটা দিশেহারা বোধ করে। তখন তারা যেকোনো চাকরির সন্ধানে থাকে এবং নিজের যোগ্যতার থেকে অনেক কম অবস্থানের চাকরিও নিতে পারে। এই বড়সড় ভুল এড়াতে আপনাকে প্রাথমিকভাবে একটি তালিকা করতে হবে। আপনার সমস্ত যোগ্যতা ও দক্ষতার তালিকা তৈরি করুন। সে অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজান। এতে আপনার সঠিক দিকে আগানো সহজ হবে এবং মনও অনেকটা নির্ভার হবে।
শরীরর্চা করুন
শুধু ওজন কমানোর জন্যই নয়, শরীরচর্চা আপনার মন সতেজ রাখতে এবং আপনাকে ভালো বোধ করাতে কাজ করবে। এটি আপনার মানসিক চাপও দূর করবে। আপনি আরও বেশি হাসিখুশি ও ফিট থাকবেন। যেকোনো ধরনের শরীরচর্চাই এক্ষেত্রে কার্যকরী। হতে পারে তা হাঁটা কিংবা দৌড়ানো। অথবা চাইলে একা একা নাচতেও পারেন!
বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলুন, বেড়াতে যান
এরকম সময়ে একা একা থাকার মতো ভুল করবেন না। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করুন, সুযোগ থাকলে তাদের সঙ্গে বাইরে খেতে যান, আপনজনদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলুন। পছন্দের কোনো ভিডিও গেমও খেলতে পারেন। নিজেকে পিছিয়ে পড়তে দেবেন না কারণ এটি শেষপর্যন্ত হতাশা ডেকে আনে।
পড়ুন অথবা কোনো কাজ করুন
এই কাজ করার অর্থ কোথাও টাকা-পয়সা বিনিয়োগ করা নয়। কারণ চাকরি না থাকার ফলে এমনিতেই আপনি টানাটানিতে থাকতে পারেন। এমন কিছু করুন যেটি খুব একটা ব্যয়বহুল নয় অথবা একেবারেই ফ্রি! বই পড়ার চেষ্টা করুন। লাইব্রেরিতে যেতে পারেন অথবা ছবি আঁকতে পারেন। বাড়িতে থাকা বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে হাতের কোনো কাজ করতে পারেন। বাড়িতে রং-তুলি থাকলে ছবি আঁকতে বসে যান। গান গাওয়ার যন্ত্র থাকলে মন খুলে গাইতেও পারেন। গাইতে পছন্দ করলে প্রতিদিন রেওয়াজ করতে পারেন। নিজের দক্ষতা ও মেধা বাড়ানোর এটাই সময়!
ঘুমের রুটিন ঠিক রাখুন
অলসতা দূর করার জন্য প্রতিদিন ঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠুন। চাকরি না থাকুক তাতে কী! ঘুম থেকে উঠে গোসল ও সকালের নাস্তার পর্ব ভালোভাবে সেরে নিন। এরপর নিজের জন্য মানানসই চাকরির খোঁজ করতে থাকুন। ব্লগিং করতে পারেন। সেইসঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে যেন আট ঘণ্টার বেশি ঘুম কোনোভাবেই না হয়।
টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে