ওজন কমাতে চাইলে রান্নাঘরে যে ৫ খাবার রাখবেন
ওজন কমানোর পরিকল্পনা করছেন? এই যাত্রায় আপনি অনেকগুলো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারেন। এর মধ্যে অন্যতম হলো চিপসের প্যাকেট, চকোলেট ও ফ্রোজেন ফুড জাতীয় খাবারগুলো ক্যাবিনেট কিংবা ফ্রিজে লুকিয়ে ফেলা। আশেপাশে এ ধরনের জাঙ্ক ফুড থাকলে তা আপনাকে প্রলুব্ধ করতে পারে। ফলে আপনি আপনার ওজন কমানোর লক্ষ্যের কথা ভুলে যাবেন।
তাহলে সমাধান কী? এই খাবারগুলোর জায়গায় স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ে আসুন। আপনার রান্নাঘরে নিম্নে উল্লেখিত সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও কম ক্যালোরিযুক্ত খাবারগুলো রাখলে আর অনলাইনে জাঙ্ক ফুড অর্ডার করে খাওয়ার লোভ হবে না। সেইসঙ্গে ওজন কমানোর জন্য সহায়ক এই খাবারগুলোই আপনার পছন্দের তালিকায় চলে আসবে।
ওটস বা ওটসমিল
সকালের খাবার কিংবা বিকেলের নাস্তার জন্য আদর্শ একটি খাবার হতে পারে ওটস বা ওটসমিল। পর্যাপ্ত ফাইবার পেতে ওটস রাখুন আপনার রান্নাঘরে। এটি মিষ্টি করতে চাইলে এর সঙ্গে সামান্য মধু ও দুধ মিশিয়ে খেতে পারেন। চকোলেটি স্বাদ পেতে চাইলে সামান্য কোকোয়া মিশিয়ে খেতে পারেন। একটু নোনতা স্বাদের খেতে ইচ্ছে করছে? পানি ও লবণ দিয়ে রান্না করুন। সঙ্গে মেশান প্রয়োজনীয় মসলা ও আপনার পছন্দের সবজি। হাতের কাছে ওটস থাকলে আপনাকে ক্ষুধার্ত বা খাবার নিয়ে চিন্তিত হতে হবে না। বিশেষ করে যখন আপনি ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন। চাইলে ওটমিলের সঙ্গে আপনার পছন্দের ফল কিংবা বাদাম প্রয়োজনমতো মিশিয়েও খেতে পারেন।
আখরোট
প্রোটিন, ফাইবার ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমৃদ্ধ আখরোট স্বাস্থ্যকর নাস্তা হিসেবে বেছে নিতে পারেন। অল্প কয়েকটি আখরোট খেলে তা আপনার ক্ষুধা দূর করবে এবং আপনাকে তৃপ্ত বোধ করাবে। অতিরিক্ত চিনি ও অস্বাস্থ্যকর ফ্যাটে পরিপূর্ণ প্যাকেটজাত নাস্তার পরিবর্তে রাখুন এই শুকনো ফল। আখরোট আপনার ক্ষুধা নিবারণ করার পাশাপাশি শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি পৌঁছে দেবে।
ডিম
প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় খাবারের তালিকায় ডিম থাকবেই। এটি সারা বছর ধরে পাওয়া যায় সেইসঙ্গে দামও খুব বেশি নয়। ডিম হলো প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস। আপনি যদি ওজন কমানোর পরিকল্পনা করেন তবে ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে এর সাদা অংশ খান। ১০০ গ্রাম ডিমের সাদা অংশে (৭টি বড় ডিমের সাদা অংশের সমান) থাকে ৫৩ ক্যালোরি, ০.৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১২ গ্রাম প্রোটিন এবং ০.২ গ্রাম ফ্যাট। তাই আপনি সহজেই ডিমের সাদা অংশ দিয়ে পেট ভরাতে পারেন। এতে কোনো ধরনের অতিরিক্ত ক্যালোরি বা ফ্যাট জমবে না।
বিটরুট
গাঢ় গোলাপি রঙের এই সবজি অত্যন্ত পুষ্টিকর। আপনি এটি দিয়ে সালাদ, জুস ইত্যাদি তৈরি করে খেতে পারেন। এটি আপনাকে শক্তি জোগাতে এবং স্ট্যামিনা বাড়াতে সাহায্য করবে। সকালের নাস্তায় কিংবা ওয়ার্কআউটের আগে অন্যান্য পানীয়র পরিবর্তে খেতে পারেন বিটরুটের জুস। এতে ক্যাফেইন থাকে না। এটি বিভিন্ন পুষ্টি ও মিনারেলে পূর্ণ, যা আমাদের রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। বিটরুটের জুস তৈরি করলে তা না ছেঁকেই পান করুন। নয়তো পর্যাপ্ত ফাইবার পাওয়া যাবে না।
আপেল
আপেল রসালো এবং ফাইবারে পূর্ণ একটি ফল। এটি আপনাকে দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখতে কাজ করে। আপনি চাইলে আপনার ব্যাগেও এই ফল রাখতে পারেন। যখন ক্ষুধা পাবে, পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে আপেলটি খেয়ে নেবেন। বাজারে নানা ধরনের আপেল কিনতে পাওয়া যায়। তাই আপনি আপনার পছন্দের আপেল কিনে নেবেন। অথবা যে ধরনের আপেল বেশি সহজলভ্য, সেগুলোই কিনবেন। আপেলে থাকা ফাইবার আপনার হজমক্ষমতা বাড়াতে কাজ করবে। সেইসঙ্গে এটি অন্ত্রে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে বিপাক ক্ষমতা বাড়াতেও কাজ করে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে