যেসব কাজে নারীর বন্ধ্যাত্ব দূর হয়
আমাদের দেশের বেশিরভাগ নারী সবার প্রতি যত্নশীল হলেও নিজের খেয়াল রাখার বিষয়ে থাকেন উদাসীন। নিজের প্রতি অবহেলা জমা হতে হতে একটা সময় তা মারাত্মক আকার ধারণ করে। জীবনযাপনে ভুল অভ্যাস, সঠিক খাবারের অভাব ইত্যাদি কারণে একটা সময় কমতে থাকে নারীর ফার্টিলিটি। তবে হতাশ হওয়ার কারণ নেই, কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে এই সমস্যা দূর করা সম্ভব।
বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, নারীদের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা এখন বেড়েছে। তাই এই বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। দুশ্চিন্তা, হরমোনের ইমব্যালেন্সের কারণে মা হওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব হতে পারে। তাই নারীকে নিয়ম মেনে করতে হবে কিছু কাজ। এতে বাড়বে ডিম্বানুর গুণগত মান। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন
ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারী প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমান, তাদের ক্ষেত্রে আইভিএফ-এর পর সন্তানধারণে সুবিধা হচ্ছে। তাই নারীর ফার্টিলিটির সঙ্গে ঘুমের সংযোগ রয়েছে, একথা মনে রাখতে হবে। যে কারণে প্রতিদিন অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুমের কারণে আরও অনেক উপকারিতা লাভ করতে পারবেন।
ঘুমের আগে ফোন ব্যবহার করবেন না
এক গবেষণায় বলা হয়েছে যে, ঘুমাতে যাওয়ার সময় বা ঘুমের আগে ফোন ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটি কমিয়ে দিতে পারে ফার্টিলিটি। এই অভ্যাস আপনার ঘুমে সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই ঘুমের আগে ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। এতে ফার্টিলিটি বাড়বে।
ল্যাপটপ ও কম্পিউটার কম ব্যবহার
বর্তমানে ল্যাপটপ ও কম্পিউটারের ব্যবহার অনেকটা বেড়েছে। তবে যারা ফার্টিলিটি বাড়াতে চাইছেন তাদের জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, যতটা সম্ভব ল্যাপটপ ও কম্পিউটার থেকে দূরে থাকুন। কারণ এ ধরনের গ্যাজেট থেকে নির্গত আলো আমাদের শরীরে কিছু ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই যতটুকু না করলেই নয়, ততটুকুই ব্যবহার করুন।
পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে
প্রত্যেক নারীকে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। মা হওয়ার জন্য প্রস্তুতি হিসেবে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। তাজা ফলমূল ও শাক-সবজি খান। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, মিনারেলযুক্ত খাবার খেতে হবে বেশি। সেইসঙ্গে ছাড়তে হবে অ্যালকোহল, সিগারেট, ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস।