পাকা চুল তুললে যেসব ক্ষতি হয়
একটা সময় মনে করা হতো, চুল কেবল বয়স বাড়লেই পাকে। কিন্তু বর্তমানে অনেক কম বয়সীদেরও চুল পাকার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এই সমস্যা দেখা দিতে পারে একাধিক কারণে। চুলের গোড়ায় পিগমেন্টেশনের জন্য মেলানিনের উৎপাদন কমে যায়। যে কারণে কালো চুল সাদা হয়ে যায়।
মেলানিনের যোগান কমে যাওয়ার মূল কারণ হলো জিনগত। পরিবারে যদি আরও অনেকের অকালে চুল পেকে যাওয়ার ইতিহাস থাকে তবে পরবর্তী প্রজন্মেরও অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। অন্যদিকে ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি ১২ এর যোগান কমলেও চুল পেকে যেতে পারে অল্প বয়সেই।
যাদের ত্বকে শ্বেতীর সমস্যা আছে তাহলে অকালে চুল পেকে যেতে পারে। শ্বেতীর সমস্যায় শরীর থেকে মেলানোসাইটস চলে যায়। মেলানিন উৎপন্ন করার জন্য প্রয়োজন হয় মেলানোসাইটসের। মেলানোসাইটস না থাকায় মেলানিন উৎপন্নও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চুল অকালে পেকে যায়।
অনেক সময় থাইরয়েড, নিদ্রাহীনতা, মানসিক চাপ ইত্যাদিও দায়ী হতে পারে অল্প বয়সে চুল পাকার জন্য। তবে চুল যে বয়সেই পাকুক না কেন, বিশেষজ্ঞরা পাকা চুল টেনে তুলতে নিষেধ করে থাকেন। পাকা চুল তুললে চুল পাকার পরিমাণ আরও বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করেন অনেকে। অবশ্য এটি সঠিক নয়। চুল টেনে তুললে অন্য চুল পাকে না। বিশেষজ্ঞদের নিষেধের কারণ হলো সংক্রমণের ভয়। কারণ পাকা চুল টেনে তুললে সেখানে ত্বকের সংক্রমণ দেখা দিতে পারে।
আপনি যদি নিয়মিত পাকা চুল তুলতে থাকেন তবে সংক্রমিত ত্বকে হাইপারপিগমেন্টেশন দেখা দিতে পারে। যে কারণে ফলিকল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এতে চুল স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাথার নির্দিষ্ট স্থান থেকে থেকে চুল তুলতে থাকলে দেখা দিতে পারে ট্রিকোটিলোম্যানিয়া নামক অসুখ। সেখান থেকে শুরু হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে চুল পড়ার সমস্যা।
নিয়মিত যদি হাত দিয়ে চুল টেনে তুলতে থাকেন তবে মাথার কোনো কোনো অংশে স্থায়ীভাবে চুল উঠে গিয়ে টাক পড়ে যেতে পারে। তাই পাকা চুল না রাখতে চাইলে কাঁচি দিয়ে ট্রিম করে নিতে পারেন। কিন্তু কোনোভাবেই টেনে তুলবেন না।