বিয়ের পর মেয়েরা যে ৫ কাজ অবশ্যই করবেন
প্রেম আর বিয়ে কিন্তু এক জিনিস নয়। অনেক প্রেমের সম্পর্কও দেখবেন বিয়ের পরে ভেঙে যাচ্ছে। প্রেম করার সময় যেসব প্রত্যাশা থাকে, বিয়ের পরে সেসবের বেশিরভাগই পূরণ হয় না। যে কারণে বাড়ে অশান্তি। তবে বিয়ের আগে কিছু বিষয় জেনে নিলে এবং সেগুলো মাথায় রাখলে সম্পর্ক সুন্দর রাখা সহজ হয়। আপনি যখন বিয়ে করতে যাচ্ছেন, এই ৫ পরামর্শ আপনার জীবনকে সহজ করে দিতে পারে-
জিরো এক্সপেক্টেশন রাখুন
আপনি বিভিন্ন টিভি ড্রামা দেখে অথবা বন্ধুদের কাছে শুনে একটি কাল্পনিক চিত্র সাজাতে পারেন। তখন আপনার মনে হতে পারে, বিবাহিত জীবনের সব দিক বুঝি আপনার জানা! আপনি হয়তো আশা করে থাকেন যে বিয়ের পরে প্রতি সকালে ঘুম ভাঙবে কপালে স্বামীর চুমুর স্পর্শ পেয়ে, শ্বশুরবাড়ির মানুষেরা মিষ্টি হেসে আপনাকে স্বাগত জানাবে এমন কিছু। বাস্তবে এমনটা নাও হতে পারে। এরকমটা কোনো কোনো বাড়িতে হতে পারে, তবে তা খুব বিরল। বিয়ের আগে যদি আপনার শ্বশুরবাড়ির মানুষেরা খুব ভালো আচরণ করে, এমনটাই যে সারা জীবন থাকবে তা ধরে নেবেন না। অনেক কিছুই পরিবর্তন হতে পারে। আপনি যদি ধাক্কা খেতে না চান, তবে জিরো এক্সপেক্টেশন রাখুন। যা পেয়েছেন তা নিয়ে কৃতজ্ঞ থাকলে সুখি হওয়া সহজ হবে।
নিজের কাজকে সম্মান করুন
এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি বিভিন্নজনের কথায় সামান্য রাগান্বিত হলেও আপনার নিজের কাজকে কখনও অবহেলা করবেন না। আপনার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা যদি আপনার কাজের কোনো দিক নিয়ে সমালোচনা করেন, তার উত্তর না দিয়ে নিজের কাজটি মনোযোগ দিয়ে করে যান। শ্বশুরবাড়ির কথায় রাগ করে কখনো নিজের কাজ ছেড়ে দেবেন না। কারণ নিজেকে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর রাখতে চাইলে এটি ধরে রাখা জরুরি। মনে রাখবেন, অন্যের কথায় কিন্তু আপনার আর্থিক জোগান হবে না।
বাথরুম ভাগাভাগির ক্ষেত্রে
বাথরুম শেষে কেবল ফ্লাশ করাই নয়, কমোডের সিট কভার এবং ঢাকনা বন্ধ রাখার অভ্যাস বেশিরভাগ মা তাদের ছেলেদের শেখান না। বিয়ের পর এই নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে বাঁধতে পারে খিটিমিটি। এখানে স্ত্রীকে রিংমাস্টার হতে হবে কিন্তু প্রশিক্ষণের পরিবর্তে প্রেম ব্যবহার করুন। নতুন একজন নারীর সঙ্গে নিজের কক্ষ এবং টয়লেট ভাগাভাগি করা একজন পুরুষের জন্য কঠিন হতে পারে। তাই ধৈর্য ধরুন। তার ভেজা তোয়ালে যেখানে সেখানে রাখার বদ অভ্যাসও থাকতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি তাকে বুঝিয়ে বলুন এবং এতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার কারণে কী সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে তা তাকে জানান।
বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন
বিয়ের পরে জীবনে অনেককিছু নতুন যোগ হয়। এতসব নতুনত্বের ভিড়ে বন্ধুদের বাদ দেবেন না। বেশিরভাগ মানুষ এই ভুল করে এবং পরবর্তীতে অনুশোচনা করে। বন্ধুরা আপনাকে বিভিন্ন বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়ে সুখি এবং মানসিকভাবে খুব সুস্থ রাখে। তাই বিয়ে পরবর্তী জীবনের যাত্রায় সঙ্গী থাকুক বন্ধুরাও।
বাড়ির সব কাজ একা করবেন না
আপনি দেখছেন আপনার শাশুড়ি সারাদিন পরিশ্রম করে, সংসারের অন্যান্যদের জন্য নানা কাজ করতে গিয়ে নিজের কাজগুলো সারতে দেরি হয়ে যায়। সবাইকে খাইয়ে নিজে সবার শেষে মাছের লেজটি বা কাঁটাটি নিয়ে খেতে বসেন। এসব কাজকে আপনার জীবনের আদর্শ ভাবতে যাবেন না। মানুষের জন্য কিছু করা অবশ্যই উত্তম কিন্তু নিজেকে তিলে তিলে শেষ করে নয়। বরং সবাই মিলে কাজ ভাগ করে নিন। যার কাজ তাকে করতে দিন। ঘুম থেকে উঠে নিজ নিজ বিছানা গোছানো, গোসল শেষে নিজের কাপড় নিজে ধুয়ে নেওয়া কিংবা খাওয়া শেষে নিজের থালাটি ধুয়ে রাখার অভ্যাস করুন। বাড়ির সব কাজ কখনোই নিজের ঘাড়ে নেবেন না।