স্ট্রেট করা চুলের যত্ন নেবেন যেভাবে
দেখতে আরেকটু বেশি সুন্দর লাগবে সেই আকাঙ্ক্ষা থেকে চুল স্ট্রেট করেন অনেকে। এতে দেখতে সুন্দর লাগে সত্যি, কিন্তু চুলে হিটেড স্টাইলিং যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার কারণে মাথায় ত্বকের আর্দ্রতা চলে যায়। যে কারণে চুল হয় ক্ষতিগ্রস্ত। চুল স্ট্রেট করার পর আরও বেশি যত্ন নিতে হবে। নয়তো চুল হয়ে পড়বে ভঙ্গুর, রুক্ষ ও প্রাণহীন। চলুন জেনে নেওয়া যাক স্ট্রেট করা চুলের যত্ন নেবেন যেভাবে-
শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার
আপনার চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার বেছে নিতে হবে। শ্যাম্পুর মান ভালো হলে অ্যান্টি-ব্রেকেজ, অ্যান্টি-হেয়ারফল, স্ট্রেন্থনিং এর কাজ করে। ফলে চুল সোজা এবং মসৃণ থাকে। স্বাস্থ্যকর ও ঝলমলে চুলের জন্য ওটস, মটর, রোজমেরি, আর্গান তেল এবং জৈব পাতাযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন। শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। কারণ কন্ডিশনার খুব ভালো হাইড্রেটিংয়ের কাজ করে। এটি চুলের শুষ্কতা কমায় সেইসঙ্গে চুলকে নরম ও মসৃণ করে।
নিয়মিত হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন
চুল ভালো রাখার জন্য হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করা জরুরি। কারণ এটি চুল ভালো রাখতে কাজ করে। আপনার চুল যদি স্ট্রেট করা হয় তবে তা ঠিক রাখার জন্য ব্যবহার করতে হবে হেয়ার মাস্ক। গমের প্রোটিন, আর্গান তেল এবং শিয়া বাটার সমৃদ্ধ হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করলে চুল পড়ার পরিমাণ কমে আসবে। এটি ক্ষতিগ্রস্ত চুল মেরামত করতে করে। সেইসঙ্গে চুলে পৌঁছে দেয় পর্যাপ্ত পুষ্টি। হেয়ায় মাস্ক ব্যবহার করলে চুল নরম ও ঝলমলে থাকে। চুলের শুষ্কতাও থাকে না।
হেয়ার স্পা
বাজারে হ্যান্ডি হেয়ার স্পা কিট পাবেন। আর্গান অয়েল, রোজমেরি এবং ওটস সমৃদ্ধ স্পা কিট চুলের জন্য বেশি ভালো। চুলের জট ছাড়ানোর জন্য পুষ্টি জোগানোর কাজ করে এগুলো। স্পা কিটে শ্যাম্পু, হেয়ার মাস্ক ও হেয়ার সিরাম থাকে। অ্যান্টি-হেয়ারফল প্রোডাক্টগুলোতে থাকে ফাইবার, আর্দ্রতা ও পুষ্টি। স্ট্রেট করার পর চুলের যাতে ক্ষতি না হয় সেজন্য হেয়ার সিরাম ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
হেয়ার সিরাম
আপনার চুল যদি স্ট্রেট করার পরে রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে পড়ে তবে তা ঠিক করার জন্য নিয়মিত হেয়ার সিরাম ব্যবহার করা উচিত। এটি চুলের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার পাশাপাশি চুলকে রাখে আর্দ্র। ওটস, মটর, রোজমেরি, আর্গান তেল এবং জৈব পাতার মিশ্রণে সমৃদ্ধ সিরাম চুলকে স্বাস্থ্যকর রাখে।