মশা কিছু মানুষকে বেশি কামড়ায় কেন?
মশার কামড় থেকে বাঁচতে নানা উপায় খুঁজি আমরা। কারণ ছোট্ট এই পতঙ্গ হতে পারে নানা অসুখের বাহক। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়ার মতো মারাত্মক সব অসুখ হতে পারে এই মশার কামড় থেকেই। মশার কামড় খায়নি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে খেয়াল করলে দেখবেন, কিছু মানুষকে মশা তুলনামূলক বেশি কামড়ায়। এর কারণ কী? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
রক্তের গ্রুপের কারণে
বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে, নির্দিষ্ট কিছু গ্রুপের রক্ত মশাদের কাছে বিশেষ পছন্দের। এডিস মশাদের পছন্দ হলো ও ব্লাড গ্রুপের রক্ত। এদিকে অ্যানোফিলিসদের পছন্দ এবি গ্রুপের রক্ত। সেজন্য যাদের রক্ত এই গ্রুপের, তাদেরকেই মশারা ছেঁকে ধরে।
কার্বন ডাই অক্সাইডের খোঁজে
কার্বন ডাই অক্সাইডের খোঁজ মশারা অনেক দূর থেকেই পায়। যাদের চেহারা বড়সড়, স্বাভাবিকভাবে তাদের শরীর থেকে তুলনামূলক বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড বেশি নির্গত হয়। তাই মশা তাদের বেশি কামড়ায়। কার্বন ডাই অক্সাইড বের হয় মুখ ও নাক থেকে। তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাথার উপর মশার ঝাঁক ঘুরতে দেখা যায়।
গন্ধের কারণে
নানা ধরনের গন্ধ পায় মশারা। এরা ঘাম থেকে নির্গত অ্যামোনিয়া, ল্যাকটিক অ্যাসিডের গন্ধ পায়। অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে শরীরে উত্তাপ বাড়ে এবং ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি হয়। মশা কাকে বেশি কামড়াবে তা অনেকটা নির্ভর করে ঘামের গন্ধের ওপরেও। কারণ যারা বেশি ঘামে, তাদের খোঁজ মশা অনেক দূর থেকেই পেয়ে যায়।
গর্ভবতী নারীদের
গর্ভবতী নারীদের তুলনামূলক বেশি কামড়ায় মশা। আফ্রিকায় ২০০০ সালে এক গবেষণায় দেখা গেছে, মশা গর্ভবতী নারীদের দ্বিগুণ কামড়ায়। কারণ গর্ভবতী নারীদের শরীর তুলনামূলক বেশি গরম থাকে।
ব্যাকটেরিয়ার কারণে
মশার কামড় অনেকটা নির্ভর করে কারও ত্বকের কতটা ব্যাকটেরিয়া আছে তার ওপরও। কারণ যেখানে ব্যাকটেরিয়া বেশি থাকে, মশা সেখানেই বেশি আকৃষ্ট হয়। আর এ কারণেই পায়ের গোড়ালিতে মশা বেশি কামড়ায়।
পোশাকের ধরণ বুঝে
অনেক সময় পোশাকের ওপরও নির্ভর করে মশার কামড়ের পরিমাণ। কারণ মশাদের কাছে গাঢ় রং অনেক পছন্দের। সেজন্য যারা কালো রঙের বা অন্য কোনো গাঢ় রঙের পোশাক পরেন, তাদেরকেই বেশি কামড়ায় মশারা।